অপহরণের তিন দিন পার হয়ে গেলেও খাগড়াছড়িতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী এখনো উদ্ধার হয়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁদের পরিবার ও জেএসএস–সন্তু লারমা–সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপুণ ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিন দিন ধরে প্রশাসনের উদ্ধার তৎপরতায় আমরা হতাশ। এভাবে চেষ্টা করা হলে অপহৃত ব্যক্তিরা উদ্ধার হবে না। অপহরণকারী দল ইউপিডিএফের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মনে শুভবুদ্ধি উদয় হোক এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাঁচ শিক্ষার্থীকে অক্ষত অবস্থায় মুক্তি দিক তারা।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপহৃত এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ঝড়বৃষ্টির মধ্যে তাদের সঙ্গে কী করা হচ্ছে, কোথায়, কীভাবে রাখা হচ্ছে, আমরা এখনো জানি না। প্রশাসনও কোনো খোঁজ দিতে পারছে না। যেখানে প্রশাসন খোঁজ দিতে পারছে না, সেখানে আমরা যাব কার কাছে। আমাদের একটাই প্রার্থনা, সন্তানেরা যেন সুস্থ অবস্থায় ফিরে আসে।’

অপহরণের শিকার রিশন চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চবির সদস্য। অন্য চার শিক্ষার্থী হলেন, চবির চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তাঁরা ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

তবে প্রথম দিন থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ইউপিডিএফের অন্যতম খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা। তিনি বলেন, অপহরণের সঙ্গে ইউপিডিএফের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি ইউপিডিএফ করে না।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো.

আরেফিন জুয়েল প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাঁচ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনী চেষ্টা করে যাচ্ছে উদ্ধারের জন্য। তবে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।’

বিজু উৎসব শেষে গত বুধবার সকালে কুকিছড়া থেকে অটোরিকশায় খাগড়াছড়ি সদরে আসার পথে গিরিফুল নামক এক জায়গা থেকে টমটম গাড়ির চালকসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে চালককে ছেড়ে দিলেও পাঁচ শিক্ষার্থীর খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাতক্ষীরায় ৮ দিনেও খোঁজ মেলেনি অপহৃত কিশোরীর

সাতক্ষীরার আশাশুনি থেকে আট দিন আগে অপহরণ হওয়া এক কিশোরীর খোঁজ এখনো মেলেনি। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হলেও মেয়েটিকে খুঁজে বের করতে পারেনি পুলিশ। মেয়েকে জীবিত ফেরত পেতে ব্যাকুল হয়ে আছে পরিবার।

বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে অপহৃতের বাবা বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।

আরো পড়ুন:

আইজিপির সঙ্গে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ

নির্বাচনে পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে: ডিএমপি কমিশনার

মেয়েটির বাবার করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তার ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দেন আশাশুনির খড়িয়াটী গ্রামের পীর আলী সরদারের ছেলে গোলাম কিবরিয়া। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২২ অক্টোবর মাদারাসায় যাওয়ার পথে গোলাম কিবরিয়া তার সহযোগীদের সহায়তায় মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মেয়ের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযুক্তরা তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে। এ ঘটনায় আশাশুনি থানায় জিডি করেন মেয়েটির বাবা, যার নং ১৩১২, তাং- ২৭/১০/২৫। 

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত গোলাম কিবরিয়ার মোবাইলে কল করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামসুল আরেফিন বলেন, “মেয়েটির পরিবার সাধারণ ডায়েরি করেছে। মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে উদ্ধার করতে পারব।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছয় বছর ধরে নিখোঁজের পর ফেনীতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার, সেই আহাদ আসলে কে
  • সাতক্ষীরায় ৮ দিনেও খোঁজ মেলেনি অপহৃত কিশোরীর