ভাগনিকে এগিয়ে দিচ্ছিলেন মারফত, হঠাৎ মোটরসাইকেলে এসে কোপাতে থাকে যুবকেরা
Published: 19th, April 2025 GMT
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মারফত আলী ফকির (২২) নামের এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হামলার ১৮ দিন আগে তাকে ফেসবুকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল ওয়াহিদুজ্জামান তানভির নামের এক যুবক।
নিহত মারফত নান্দাইল উপজেলার ধূরুয়া গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়।
নিহতের পরিবার জানায়, মারফত আলী শুক্রবার ভাগনির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের সাকুয়া মাঝেরচর গ্রামে যান। বিয়ে শেষে ভাগনিকে এগিয়ে দেওয়ার সময় মুন্সিবাড়ী মাদরাসার সামনে সড়কে একাধিক মোটরসাইকেলে আসা একদল যুবক তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, নিহত মারফত আলীর ওপর পূর্বশত্রুতার জেরে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ ছিলেন একই গ্রামের উসমান খানের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান তানভির। তানভিরের নামে থানায় হত্যাচেষ্টাসহ অন্তত ৭টি মামলা রয়েছে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তানভির ফেসবুক লাইভ ও পোস্টে একাধিকবার মারফতকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। গত ৩০ মার্চ একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘লাশ ছাড়া শেষ হবে না.
তারা আরও বলেন, তানভিরের এসব কার্যকলাপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করা হলেও পুলিশ তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।
গৌরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মাযহারুল আনোয়ার সমকালকে বলেন, ঘটনাটি গৌরিপুরে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে। নিহত ব্যক্তি ও হামলাকারী দুজনের বাড়িই নান্দাইল উপজেলায়। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ করেনি থানায়। হাসপাতাল থেকে আমরা মৃত্যুর খবর পেয়েছি। নান্দাইল থানার সঙ্গে যোগাযোগ করছি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়মনস হ ক প য় হত য
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।