দ্রুত মুশফিক-মুমিনুলকে হারানোয় জাকের-মিরাজের দায়িত্ব ছিল ধরে খেলা। কিন্তু মিরাজের বিদায়ে এই জুটিও শুরুর আগেই শেষ। ৪ বলে ১ রান করে মুজারাবানির শিকার হলেন মিরাজ। তার বিদায়ে পতন হল বাংলাদেশের ষষ্ঠ উইকেটের। ক্রিজে জাকেরের সঙ্গী তাইজুল। ৪৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩৭ রান।

মুশফিক-মুমিনুলকে হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

মুশফিকের দেখানো পথ অনুসরণ করলেন মুমিনুল হক। আক্রমণাত্নক হতে গিয়ে মাসাকাদজাকে মেরে খেলতে গিয়ে মাধেভেরের ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। সাজঘরে ফেরার আগে ১০৫ বলে ৮ বাউন্ডারি ও এক ছক্কার সৌজন্যে ৫৬ রান করেন মুমিনুল। তার বিদায়ে পতন হল বাংলাদেশের পঞ্চম উইকেটের। ক্রিজে জাকেরের সঙ্গী মিরাজ। ৪৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৩৭ রান।

বাজে শটে সাজঘরে মুশফিক

দ্বিতীয় সেশনে নাজমুল হোসেন শান্তর পর উইকেট দিয়ে এসেছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও (৪)। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার সহজ বলে বাজে শটে আউট হলেন বাংলাদেশের সফলতম টেস্ট ব‍্যাটসম‍্যান। মুশফিককে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। ৪১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১২৫ রান। ক্রিজে মুমিনুল হকের সঙ্গী জাকের আলি।

মধ্যাহ্নভোজের পর শান্তকে হারাল বাংলাদেশ

মধ্যাহ্নভোজের পর খেলা শুরু হলে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকে বাংলাদেশের দুই ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুমিনুল হক।  তবে দলীয় ৯৮ রানে শান্তর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুমিনুলের সঙ্গে শান্তর ৬৬ রানের জুটি ভাঙেন মুজারাবানি। নাজমুল হোসেন শান্ত ৪০ করে মুজারাবানির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন। ক্রিজে নতুন ব্যাটার মুশফিকুর। ৩৩ ওভার শেষে ৯৮ রানে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। ০ রানে মুশফিক ও ২৫ রানে আছেন মুমিনুল।

বৃষ্টি বাগড়ায় ৩০ মিনিট পর খেলা শুরু

বৃষ্টির বাগড়ায় ভেসে গেল ৩০ মিনিট।  দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু হলো । মধ্যাহ্নভোজের আগে  ২ উইকেট হারিয়ে ৮৪ রান করেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক নাজমুল ৪৩ বলে ৩০ ও মুমিনুল হক অপরাজিত আছেন ৪৬ বলে ২১ রানে।

মধ্যাহ্নভোজের পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

সকাল থেকেই ছিল বৃষ্টির চোখরাঙানি। মধ্যাহ্নভোজের ঘন্টাখানিক আগে থেকেই আলো কমে যাওয়ায় ফ্লাডলাইট চালু করা হয়। কৃত্রিম আলোতে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পর্যন্ত খেলা হয়েছে। তবে এই বিরতির মাঝেই নেমেছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। ঢেকে দেওয়া হয়েছে উইকেট ও এর আশপাশের জায়গা ফলে নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যায়নি দ্বিতীয় সেশনের খেলা।

রোববার সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৮৪ রান। শান্ত ৪৩ বল খেলে পাঁচটি চার মেরে অপরাজিত ৩০ রানে, আর মুমিনুল ৪৬ বলে দুটি চারে অপরাজিত ২১ রানে ব্যাট করছেন। এই জুটির পঞ্চাশ পূর্ণ হয় ৭৭ বলে।

এর আগে বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ছিল হতাশাজনক। প্রথম ঘণ্টাতেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান জয়। মাত্র ৩২ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর ধৈর্য আর দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ইনিংস মেরামতের কাজটা এগিয়ে নিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৫২ রানের জুটিতে প্রথম সেশন শেষে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে টাইগাররা।

এখন দেখার বিষয়, খেলা শুরুর পর এই জুটি কতদূর টেনে নিতে পারেন শান্ত ও মুমিনুল।

বাংলাদেশের একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, জাকের আলি (উইকেটরক্ষক), তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, খালেদ আহমেদ।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: বেন কারান, ব্রায়ান বেনেট, নিকোলাস ওয়েলচ, শন উইলিয়ামস, ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ওয়েসলি মাধভেরে, নিয়াশা মায়াভো (উইকেটরক্ষক), ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, রিচার্ড এনগারাভা, ব্লেসিং মুজারাবানি, ভিক্টর এনাউচি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ম ন ল হক উইক ট স জঘর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে ইরানের নতুন হামলায় নিহত বেড়ে ৫, আহত ২৯

ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে অন্তত চার জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইরান। এ হামলায় তিনজন নিহত হয় বলে জানায় জেরুজালেম পোস্ট। বিবিসি আরও দুইজন নিহতের খবর দেয়। এরপর আরেকজনের ফলে নতুন হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে পাঁচজনে পৌঁছাল।

আজ সোমবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স ও ব্লাড ব্যাংক সংস্থাগুলো বলছে, এসব হামলায় ২৯ জন আহত হয়েছেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের জাতীয় জরুরি পরিষেবার প্রধান ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানান, মধ্য ইসরায়েলজুড়ে ইরানের হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন নারী, একজন পুরুষ। 

এর আগে সিএনএন ইসরায়েলের ১৫ জন নিহত হওয়ার খবর দেয়। ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কানের খবর বলছে, ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে হামলায় একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়াও বন্দরনগরী হাইফায় অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন। এছাড়াও সেখান আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।

এর আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছিল, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে। একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে ইসরায়েল। বর্তমানে হামলা প্রতিহত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

আজ সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, তেল আবিব ও জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে জরুরি সতর্ক সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করেছে। আইডিএফ সতর্ক করে বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অভেদ্য নয়।

সিএনএনের একজন প্রযোজক জেরুজালেমে সাইরেন এবং একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। তার তোলা ভিডিওতে আকাশে বহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যেতে দেখা গেছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদোম জানিয়েছে, তাদের দলগুলো আক্রান্ত এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে।

সারা দেশের নাগরিকদের আশ্রয়কেন্দ্রে ঢুকতে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, বর্তমানে বিমানবাহিনী হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি পাল্টা হামলা চালানোর কাজ করছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের পেতাহ টিকভা শহরের একটি ভবনে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। হামলার ফলে ওই স্থানে আগুন ধরে যায়। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে মধ্য ইরানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর দাবি, বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি বিমানবাহিনী সফলভাবে মধ্য ইরানে অবস্থিত একাধিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এসব স্থাপনা থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছিল।’

তবে ইসরায়েলের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান এখনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় রোববার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৪ জনে পৌঁছেছে।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। হামলায় ১ হাজার ২৭০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

এপির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ১৩ জুন ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইরানের নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের পারমাণবিক স্থাপনা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন। ইরানে বর্তমানে মসজিদ ও মেট্রো স্টেশনগুলোকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের তিন শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। রোববার ইসরায়েল সরকারের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বলেছে, এছাড়া ইরানের হামলায় কমপক্ষে ৩৮৫ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাত জনের অবস্থা গুরুতর।

এদিকে ইসরায়েলি পুলিশের বরাতে আল জাজিরা জানিয়েছে, তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত বাত ইয়াম শহরে ৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। এছাড়া সাতজন এখনও নিখোঁজ। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন জরুরি সেবাদানকারীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ