প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, রাষ্ট্রের তৃতীয় অঙ্গ হিসেবে নয়; বরং অন্য অঙ্গের সঙ্গে সমমর্যাদায় বিচার বিভাগকে নিতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার আপিল বিভাগের ১ নম্বর বিচারকক্ষে (প্রধান বিচারপতির এজলাস) আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত দুই বিচারপতিকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

আপিল বিভাগের দুই বিচারপতিকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

প্রথা অনুসারে অ্যাটর্নি জেনারেল মো.

আসাদুজ্জামান এবং পরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন সংবর্ধনা জানান। পরে দুই বিচারপতি বক্তব্য দেন। এরপর প্রধান বিচারপতি কথা বলেন। এ সময় আপিল বিভাগের অপর ছয় বিচারপতি বেঞ্চে ছিলেন।

গত ২৪ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২৫ মার্চ শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তাঁদের নিয়োগ কার্যকর হয়।

আপিল বিভাগের দুই বিচারপতিকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল ও জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, গত বছরের শেষ দিকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কার্যক্রম শুরু হয়; যা শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বায়ত্তশাসিত কাঠামো হিসেবে সুপ্রিম কোর্টকে দায়িত্বপ্রাপ্ত করে। বিচারক নিয়োগের জন্য জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ; যা নির্বাহী ও আইন বিভাগের নিয়ন্ত্রণমুক্ত থেকে বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপ ল ব ভ গ র দ ই ব চ রপত

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

রাজবাড়ীর পাংশায় প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীর মা ও বাবা গতকাল পৃথকভাবে বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে পাংশা থানায় দুটি মামলা করেন। এতে হাসমত আলী (২২) ও শিহাব মণ্ডল (২০) নামের দুই তরুণকে আসামি করা হয়। তাঁদের বাড়ি উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নে। মামলা করার পর পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে শিহাবকে গ্রেপ্তার করে।

ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাদের একজনের বয়স ১৪ বছর এবং অপরজনের বয়স ১৫ বছর।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়া শেষে দুই বান্ধবী একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে তাদের পথ রোধ করে হাসমত ও শিহাব। ধারালো ব্লেড বের করে স্কুলছাত্রী দুজনকে জিম্মি করে রাস্তার অদূরে একটি পানের বরজে জোর করে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে পৃথক স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন ওই দুই তরুণ। বিষয়টি কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চলে যান তাঁরা।

গতকাল রাতে পাংশা মডেল থানায় মামলা করতে আসা ভুক্তভোগী দুই স্কুলছাত্রীর পরিবার জানায়, হাসমত ও শিহাব ওই দুই স্কুলছাত্রীকে মাঝেমধ্যে উত্ত্যক্ত করতেন। এ ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন গতকাল রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজনের মা এবং অপরজনের বাবা বাদী হয়ে রোববার রাতে হাসমত আলী ও শিহাব মণ্ডলকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন। রাতেই আসামি শিহাব মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি হাসমতকে গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

ওসি সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, গ্রেপ্তার শিহাব পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁর পোশাকেও ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাঁকে সোমবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হবে। দুই স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ