নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবসহ ক‌মিশন বা‌তিল ও ১৩ মে নেতাকর্মী‌দের বিরু‌দ্ধে দা‌য়েরকৃত মামলা প্রত‌্যাহারসহ ৫ দফা দা‌বি‌তে ৩ মে (শ‌নিবার) রাজধানী‌তে মহাসমাবে‌শের ডাক দি‌য়ে‌ছে কওমি সম‌র্থিত অরাজ‌নৈ‌তিক সংগঠন হেফাজ‌তে ইসলাম। এ সম‌য়ের ম‌ধ্যে পাচ দফা দা‌বি বাস্তবায়ন করা না হ‌লে আরো ক‌ঠোর কর্মসূচির হুম‌কি দি‌য়ে‌ছে সংগঠন‌টি।

রবিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে হেফাজ‌তের কার্যনির্বাহী পরিষদের (মজলিসে আমেলা) জরু‌রি বৈঠকে এসব কর্মসূচি নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন হেফাজতের মহাস‌চিব আল্লামা সা‌জিদুর রহমান। তিনি বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন ইস্যু সামনে রেখে এই কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৩ মে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হ‌বে। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এ সমাবেশ হবে। সেখানে বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করা হবে।”

আরো পড়ুন:

শহীদের রক্তের দায় ক্ষমা করা যায় না: ইউনুস আহমাদ

জাতীয় নাগরিক পার্টিকে স্বাগত জানাল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

এ সময় হেফাজতে ইসলরে যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ৫ দফা দা‌বি তু‌লে ধ‌রেন। সেগুলো হলো-
১.

ফ্যাসিবাদের আমলে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ৫ মে শাপলাসহ সব গণহত্যার বিচার দ্রুত করতে হবে।
২. বহুত্ববাদের পরিবর্তে সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করতে হবে।
৩. নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশে ধর্মীয় বিধান, ইসলামী উত্তরা‌ধিকার আইন ও পা‌রিবা‌রিক বৈষম্য প্রস্তাব ও কমিশন বাতিল করতে হবে।
৪. ভারতের মুসলমানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ ও ওয়াকফ আইন বাতিলে ভারত সরকারকে বাধ্য করতে হবে।
৫. ফিলিস্তিন দখলদার মুক্ত করার জন্য বিশ্ব মুসলিম নেতাদের উদ্যোগ গ্রহণ করা।

তি‌নি ব‌লেন, “মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষে আমরা সারা‌ দে‌শে কর্মসূচি হা‌তে নি‌য়ে‌ছি। তার ম‌ধ্যে মহাসমাবেশ সফল করতে আগামী ২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত জেলা, থানা ও স্থানীয় নেতাকর্মী ও ওলামায়ে কেরাম গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করা হ‌বে। মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষে ২৫ এপ্রিল বাদ জুমা সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। তাছাড়া ২৫ এপ্রিল ও ২ মে শুক্রবার দেশের প্রতিটি মসজিদের মিম্বর থেকে কুরআনের বিধানকে কটাক্ষকারী নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার অসারতা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মুসলিম আইন জাতির সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানা‌চ্ছি।”

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ্ মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী। সি‌নিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর প‌রিচালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা খলিল আহমদ কাসেমী, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল হামিদ পীরসাহেব মধুপুর, মাওলানা সালাহ উদ্দিন নানুপুরী, মুফতি জসিম উদ্দিন হাটহাজারী, মাওলানা আবদুল আউয়াল নারায়ণগঞ্জ, মাওলানা মহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদবী পটিয়া, মাওলানা আরশাদ রহমানী বসুন্দরা, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী ময়মনসিংহ, মাওলানা শিব্বির আহমদ রশিদ কিশোরগঞ্জ, মাওলানা মোবারকুল্লাহ বি বাড়িয়া, ড. আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা মহিউদ্দিন রববানী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, মুফতি মোহাম্মদ আলী মেখলী, মাওলানা আফজালুর রহমান ফেনী, মাওলানা আলী ওসমান, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন খুলনা, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা আব্দুল হালিম বরিশাল, মাওলানা আব্দুল কাদের, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির, মাওলানা মীর ইদরিস, সহকারী মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, মাওলানা মুসা বিন ইজহার, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা মুস্তাকুননবী কাসেমী, মাওলানা আব্দুল বাসেত খান সিরাজী, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী, অর্থ সম্পাদক মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি বশিরুল্লাহ, প্রচার সম্পাদক মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী, মাওলানা হারুন আজিজী নদভী,  মাওলানা জাবের কাসেমী, মাওলানা শামসুল ইসলাম জিলানী, মাওলানা মুহিববুল্লাহ, মাওলানা সানাউল্লাহ মাহমুদী, মাওলানা সিদ্দিকুল ইসলাম তোফাইল, মাওলানা জুবায়ের আহমাদ, মাওলানা নুর হোসাইন নূরানী, মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী, মুফতি কামাল উদ্দিন, মুফতি এনামুল হক কাসেমী, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা ফয়সাল আহমাদ, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা হোসাইন মোহাম্মদ শাহজাহান, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মুফতি আলি আকবর কাসেমী, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা মুফতি শরিফুল্লাহ, মুফতি আব্দুর রহিম কাসিমী, মাওলানা আলী আজম কাসেমী, মাওলানা বুরহান উদ্দিন কাসেমী,  মাওলানা মোহাম্মদ বাবুনগরী, মাওলানা কাজী জাবের তাজাল্লা, মাওলানা মফিজুর রহমান, মাওলানা মাহমুদুল আলম, মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা জাকারিয়া মাদানী, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা ওসমান গনি, মাওলানা আব্দুল মালেক, মাওলানা মাহমুদুল হোসাইন, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা এহসানুল হক।

মাওলানা শরিফুল্লাহ, মাওলানা জুনায়েদ বিন ইয়াহইয়া, মাওলানা মাহমুদ শাহ ধর্মপুরী বাবুনগর, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, মাওলানা মহিউদ্দিন খান, মাওলানা জুনায়েদ বিন জালাল, মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ হামিদী, মুফতি মোহাম্মদ ওসমান সাদেক, মুফতি কামরুজ্জামান, মাওলানা ইসমাইল হোসাইন, মাওলানা ফরিদ আহমদ, মাওলানা বশির, মাওলানা গাজী ইয়াকুব, মাওলানা নিজাম সাইয়্যিদ, মাওলানা এহসানুল হক।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম হ ম মদ ব ব নগর ল ইসল ম র রহম ন হ স ইন

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’

তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’

পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’

সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’

আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’

ঢাকা/আসাদ/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খাজা শরফুদ্দীন চিশতির মাজারে হাত দিলে পরিণাম হবে ভয়াবহ: আহলে সুন্
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • যারা জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলকে নিষিদ্ধ চায়, তারা আদালতে অভিযোগ দিতে পারে: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • প্রাথমিকে গানের শিক্ষক বাদ দিয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে
  • মাঠের জবাব মাঠে দেওয়া হবে: সালাহউদ্দিন 
  • পনেরো বছরে থেমে গেল শিশুশিল্পীর জীবন
  • পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত
  • আলোচনা অব্যাহত থাকা অবস্থায় কর্মসূচি দেওয়া স্ববিরোধিতা মনে করছে বিএনপি