কিশোরগঞ্জে ৪ কেজি ওজনের শিঙাড়া, দেখতে উৎসুকদের ভিড়
Published: 21st, April 2025 GMT
গরম মচমচে শিঙাড়ার স্বাদই আলাদা। সেই শিঙাড়ার ওজন যদি হয় চার কেজি, তাহলে এটি নিয়ে কৌতূহল থাকে একটু বেশি। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বানানো চার কেজি ওজনের দুটি শিঙাড়া রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে এলাকায়।
গতকাল রোববার বিকেলে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার আহুতিয়া পুরাতন বাজারে স্বপন মিয়ার হোটেলে শিঙাড়া দুটি বানানো হয়। পাঁচ বন্ধুর ইচ্ছা পূরণ করতে বানানো হয়েছে চার কেজি ওজনের শিঙাড়াগুলো। এত বড় বড় শিঙাড়া দেখতে দোকানে ভিড় করেন উৎসুক জনতা।
দোকানের মালিক ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোফাজ্জল হোসেন, অন্তর মিয়া, মিজানুর রহমান, টুটুল মিয়া ও দিদার আহমেদ—পাঁচ বন্ধু। তাঁরা বড় আকারের শিঙাড়া বানানোর পরিকল্পনা করেন। পরে তাঁরা মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক স্বপন মিয়ার কাছে তাঁদের পরিকল্পনার কথা জানান। তাঁরা সবাই ওই হোটেলের নিয়মিত ক্রেতা। পরে তাঁদের অনুরোধে বানানো হয় চার কেজি ওজনের দুটি শিঙাড়া।
ঝাল ঝাল নরম আলুর পুর দিয়ে বানানো শিঙাড়া ডুবোতেলে মচমচে করে ভাজা হয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওজন র
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।