Risingbd:
2025-08-01@02:31:16 GMT

অঝোরে কাঁদছেন পারভেজের মা

Published: 21st, April 2025 GMT

অঝোরে কাঁদছেন পারভেজের মা

রাজধানীর বনানীতে ছুরিকাঘাতে নিহত হন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ। তার মৃত্যুর খবরে গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। সন্তানের শোকে পারভেজের বাবা-মা ও একমাত্র বোনের আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছে চারপাশের পরিবেশ। তুচ্ছ ঘটনায় এমন হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারছেন না তারা। 

সোমবার (২১ এপ্রিল) ভালুকা উপজেলার কাইচান গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সন্তান হারানো শোকে অঝোরে কাঁদছেন আর বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন নিহত পারভেজের মা পারভীন আক্তার। 

পারভীন আক্তার বলেন, “মৃত্যুর আগের রাতে শেষবারের মতো ভিডিও কলে দেখেছি ছেলের মুখ।” তিনি ছেলে হত্যায় জড়িতদের ফাঁসি  দাবি করেছেন।

আরো পড়ুন:

পারভেজ হত্যা: দোষীদের গ্রেপ্তার-বিচার দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

কবরের ওপর পড়ে ছিল গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা মরদেহ

ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে কুয়েত প্রবাসী বাবা জসিম উদ্দিন বাড়ি এসেছেন রবিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে। একমাত্র ছেলের এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। 

জসিম উদ্দিন বলেন, “আমি বিদেশে থাকি। নতুন একতলা বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেছিল পারভেজ। এই বাড়িতে আর থাকা হলো না ওর।” 

ছেলের শোকে স্তব্দ পারভেজের বাবা জসিম উদ্দিন  

তিনি বলেন, “পারভেজের পড়ালেখার প্রতি অনেক আগ্রহ ছিল। নিজের সামর্থের সবটুকু দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছি ওকে। যারা আমার সন্তানকে হত্যা করল, তাদের সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”

পারভেজের এমন মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ভালুকার বিরুনীয়া ইউনিয়নের কাইচান গ্রামের মানুষ। এলাকার প্রিয়মুখ পারভেজের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে হতবাক তারাও। 

এদিকে, পারভেজ হত্যার প্রতিবাদ এবং জড়িতদের বিচার দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ভালুকা ও ময়মনসিংহে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল। 

২৪ বছর বয়সী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বনানী থানার ওসি রাসেল সরোয়ার সোমবার জানান, গত শনিবার বিকেল ৪টার পর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। এসময় ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ছুরিকাঘাতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ নিহত হন। 

টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে এসে বুকে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে পারভেজকে।

পারভেজের ছুরিকাঘাত হওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির টেক্সটাইল বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসের পাশে একটি দোকানে বন্ধুদের সঙ্গে সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন পারভেজ। তাদের পাশে সদ্য ভর্তি হওয়া ইংরেজি ও ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের বন্ধু ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রী ছিলেন। এক পর্যায়ে দুই ছাত্রী অভিযোগ করেন পারভেজ তাদের উত্যক্ত করেছেন। তারা বিষয়টি প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির প্রক্ট্ররকে জানান।

এরপর প্রক্টর পারভেজকে ডেকে নেন। প্রক্টর অফিসে পারভেজ দাবি করেন, তিনি বন্ধুদের সঙ্গে নিজেদের আলাপের বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করছিলেন, কাউকে উত্যক্ত করেননি। এক পর্যায়ে ওই দুই ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হলে পারভেজ ক্ষমাও চান।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, সেখানেই ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা পারভেজকে হুমকি দেন। প্রক্টরের অফিস থেকে বেরিয়ে আসার পর কিছু বহিরাগত এসে আক্রমণ করেন। একপর্যায়ে ধারালো কিছু দিয়ে পারভেজের বুকে আঘাত করে তারা পালিয়ে যান। পরে রক্তাক্ত পারভেজকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক জানান, সেখানে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।

এদিকে, পারভেজ হত্যাকাণ্ডে তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- মো.

আল কামাল শেখ ওরফে কামাল, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি। 

এর আগে রবিবার নিহতের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় আট জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়।

ঢাকা/মিলন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। 

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”

আরো পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”

কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ