পুঁজিবাজার সম্পর্কে বাস্তব ও প্রায়োগিক পরিচালনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা এবং তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (সিএসই) কার্যালয়ে শিক্ষা সফর সম্পন্ন করেছেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রায় ৬০ জন শিক্ষার্থী।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী এবং বিনিয়োগ শিক্ষার অংশ হিসেবে সিএসই প্রতিনিয়তই এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমন্ত্রণ ও স্বাগত জানিয়ে থাকে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে সিএসইর প্রধান কার্যালয়ে ইডিইউ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফর সম্পন্ন করেছেন। সিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
তিন কোম্পানির পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
শেষ কার্যদিবসে সূচকের পতন, কমেছে লেনদেন
অনুষ্ঠানে সিএসই কর্তৃপক্ষের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার, চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও) মোহাম্মদ মাহাদী হাসান, সিএফএ, ম্যানেজার, কমপ্লায়েন্স, ইন্সপেকশন অ্যান্ড অ্যানফোর্সমেন্ট আদনান আব্দুর রাকিব এবং ম্যানেজার, ইস্যু মার্কেটিং, প্রোমোশন এবং প্রি-লিস্টিং ডিপার্টমেন্ট মোহাম্মাদ হাবিব উল্লাহ।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর এ কাইয়ুম চৌধুরী।
অধিবেশনটি পরিচালনা করেন হেড অফ ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়্যারনেস এম সাদেক আহমেদ। অনুষ্ঠানে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর এ কাইয়ুম চৌধুরী।
সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, “আমাদের পুঁজিবাজার এখনও বেশ অপরিপক্ক। একটি দক্ষ মার্কেটের জন্য প্রয়োজন আরো শিক্ষিত ও দক্ষতাসম্পন্ন জনবল। এখানে অনেক নতুন নতুন প্রোডাক্ট আনার সুযোগ যেমন আছে তেমনি প্রয়োজন রয়েছে নতুনদের সাহসী পদক্ষেপ। আমাদের রেগুলেটরি ও সরকারি কাঠামোর আমূল পরিবর্ধন প্রয়োজন। একই সাথে নতুন কনসেপ্টগুলোর দ্রুত মূল্যায়ন এবং বাস্তবায়নের কার্যকরি পদক্ষেপ এই মার্কেট তথা সমগ্র অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।”
চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও) মোহাম্মদ মাহাদী হাসান বলেন, “পুঁজিবাজারের ভবিষ্যৎ বিনিয়োগকারী এবং কর্ণধার উভয়ই হবে আজকের শিক্ষার্থীরা। তাই শিক্ষাকালীন সময় থেকেই এই পুঁজিবাজার এবং এর কার্যক্রম সম্পর্কে জানা, গবেষণা করা, সম্যক জ্ঞান লাভ করা এবং সুযোগ থাকলে প্রায়োগিক জ্ঞান গ্রহণ করা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদেরকে এখন থেকেই পুঁজিবাজার এবং এর কার্যক্রম বিষয়ে জ্ঞান অর্জনে সময় দিতে হবে। শিক্ষা শেষে শিখব, জানব এই ভাবনা থেকে বের হয়ে আসতে হবে এবং ভবিষ্যৎ ইনভেস্টর বা কর্ণধার হওয়ার জন্য এখন থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। পুঁজিবাজার সম্পর্কে জ্ঞান অন্বেষণের জন্য সিএসইতে তাদের দ্বার সব সময় খোলা বলে তিনি উপস্থিতিদেরকে অবহিত করেন।”
প্রফেসর এ কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের ফিনান্সিয়াল মার্কেটে, ক্যাপিটাল মার্কেট হচ্ছে অর্থনীতির একটি শক্তিশালী ভিত্তি। আমাদের বাংলাদেশের পুঁজি বাজার এখনও বেশ ছোট তবে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ এবং অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী এবং তাদের উদ্যোগ/অংশগ্রহণ এই মার্কেটকে আরও প্রাণবন্ত করবে। বাংলাদেশের বর্তমান পুঁজিবাজারের অবস্থানের পেছনে সিএসই সব সময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। যার সাম্প্রতিক একটি উদাহরণ হলো কমোডিটি এক্সচেঞ্জ-এর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ।”
তিনি বলেন, “নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা সামনে এই পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক আজকের এই শিক্ষা সফরই হতে পারে তাদের প্রথম পদক্ষেপ।”
অনুষ্ঠানে বক্তারা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বর্তমানে প্রচলিত এবং অদূর ভবিষ্যতে নতুন চালুকৃত প্রোডাক্ট বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেন। এছাড়াও আর্থিক পরিকল্পনা, ঝুঁকি এবং পুঁজিবাজারের সাথে সম্পর্কিত রিটার্ন সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে এবং তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে সুরক্ষার জন্য তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
ঢাকা/এনটি/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন উপস থ ত র জন য ব যবস গ রহণ স এসই
এছাড়াও পড়ুন:
শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।
ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।
৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।
ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট