গত বছরের এপ্রিলে জেসন গিলেস্পিকে টেস্ট দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই পেসারের সঙ্গে পিসিবির চুক্তি ছিল দুই বছরের। কিন্তু বোর্ড কর্তাদের নানা ধরনের কর্মকাণ্ডে তিনি এতটাই বিরক্ত হয়ে ওঠেন যে ছয় মাসের মধ্যেই পদত্যাগ করেন।

ডিসেম্বরে বাবর–রিজওয়ানদের দায়িত্ব ছাড়া গিলেস্পি সম্প্রতি উইজডেন ক্রিকেট উইকলি পডকাস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, পাকিস্তানে কাজ করে কোচিংয়ের স্বাদ মিটে গেছে তাঁর। ভবিষ্যতে কোনো দলের পূর্ণকালীন কোচ হিসেবে কাজ করবেন কি না, সে ব্যাপারেও নিশ্চিত নন।

কয়েক দিন আগে পাকপ্যাশন পডকাস্টের সঙ্গেও আলোচনা হয় গিলেস্পির। সেই আলোচনায় তিনি পিসিবির বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ আনেন। ৫০ বছর বয়সী এই কোচ দাবি করেন, পাওনা টাকা না নিয়েই তাঁকে পাকিস্তান থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।

তবে গিলেস্পির এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছে পিসিবি। বরং গিলেস্পিই চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে পাকিস্তান ছেড়েছেন বলে বোর্ডের পক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুই বছরের চুক্তিতে পাকিস্তান দলের দায়িত্ব নেওয়া গিলেস্পি কাজ শুরুর ছয় মাসের মধ্যেই পিসিবির ওপর বিরক্ত হয়ে ওঠেন। প্রথমে তাঁকে নির্বাচক কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া, এরপর তাঁর অমতে হাইপারফরম্যান্স কোচ টিম নিয়েলসনকে বিদায় দেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে একপর্যায়ে দায়িত্বই ছেড়ে দেন তিনি।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ২ বছরের চুক্তি করেছেন জেসন গিলেস্পি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ