চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সুজাতপুর বাজারে আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয় এক সপ্তাহ আগে দখলে নিয়েছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তবে গতকাল সোমবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে কার্যালয়টি ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু সৈয়দ গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত প্রতিমন্ত্রী নুরুল হুদার ছেলে তানভীর হুদার নির্দেশে ওই কার্যালয় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

গোলাম রাব্বানী আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক নিয়ম মেনে বিএনপি চাঁদাবাজি বা দখলের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা রয়েছে, কোনো নেতা-কর্মী চাঁদাবাজি বা দখলদারত্বে জড়ালে তা মেনে নেওয়া হবে না। সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করতে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে। তাই সুজাতপুর বাজারের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের দখল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ইতিমধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদেরও জানানো হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা তাঁতীদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মুন্সি, বিএনপি নেতা আকবর হোসেন, দুলু ভূঁইয়া, হাসান সরকার, যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হালিম সরকার, যুবদল নেতা মিজানুর রহমান প্রধান, শ্রমিক দলের বাগানবাড়ী ইউনিয়ন সভাপতি মফিজুল ইসলাম, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও ইউপি সদস্য আল আমিন রহমান প্রমুখ।

এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন বলেন, বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচক, গণতান্ত্রিক রীতিনীতির বহিঃপ্রকাশ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল ব এনপ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ