বিশেষ শিশুদের পাশে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ‘ভিন্নতা নয়, সম্ভাবনার প্রতীক অটিজম’
Published: 22nd, April 2025 GMT
১৮তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে নারায়ণগঞ্জ জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সহানুভূতির এক উষ্ণ বার্তা। ‘তারা আলাদা, তবে আমাদেরই মতো’-এই চেতনায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠান।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
তার মানবিক ভাষণে উঠে আসে বিশেষ শিশুদের প্রতি সমাজের দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা।“ তারা কোনভাবেই সমাজের বোঝা নয়,” বললেন জেলা প্রশাসক। “তাদের মাঝেও আছে সম্ভাবনার আলো। আমাদের দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো, সাহচর্য ও সহমর্মিতায় তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরি করে দেওয়া।”
ডিসি আরও বলেন, “সূর্যের যেমন তাপ না থাকলে তার মূল্য নেই, তেমনি মানবতাহীন সমাজও মূল্যহীন। তাই মানবতা দিয়েই বদল আনতে হবে দৃষ্টিভঙ্গির।”
রালিটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। রেলিতে অংশগ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো.
আলোচনা সভা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয় ১১ জন অটিজম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মাঝে। জেলা প্রশাসক নিজ হাতে উপকারভোগীদের হাতে তুলে দেন এই সহায়ক যন্ত্রটি। উপস্থিত অনেকেই চোখের জল লুকাতে পারেননি সে সময়।
“এই সন্তানরা সমাজের সম্পদ। যদি আমরা পাশে দাঁড়াই, সঠিক সুযোগ দিই তবে তারাও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে,” বলেন জেলা প্রশাসক। তিনি সমাজের বিত্তবান ও সচেতন মানুষদের অটিজম আক্রান্ত শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
এই কর্মসূচি শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং একটি মানবিক বার্তা ভিন্নতাই যে সৌন্দর্য, আর সহানুভূতিই যে প্রকৃত উন্নয়নের মূল ভিত্তি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।