গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক (ভিপি নুর) বলেছেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগেই প্রয়োজনীয় সংস্কার করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সরকারকে নির্বাচন দিতে হবে।”

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণঅধিকার পরিষদের নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সহ-সভাপতি হান্নানুর রহমান রতনের স্মরণ সভা অনুষ্ঠানে ভিপি নুর এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “আমাদের আগেই দাবি ছিল রাষ্ট্র সংস্কার করেই নির্বাচন হবে। সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংস্কার কমিশনগুলোর আলাপ-আলোচনা চলবে। সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা যাবে না। সংস্কার ও নির্বাচন সমান্তরালে চলছে। এদেশে দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না।”

এসময় ভিপি নুর আরও বলেন, “এদেশে বিগত আমলে আমরা দেখেছি দুইবারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রীর হলে আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্টদের জন্ম হয়। তাই নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার বিষয়টিও সংস্কার করতে হবে। দেশে প্রধানমন্ত্রীকে সকল ক্ষমতার অধিপতি করে রাখা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি কেবল রাষ্ট্রীয় জ্ঞাপন ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ এগুলো ছাড়া কোন ক্ষমতার ব্যবহার করতে পারেন না। তাই প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সমতার ভিত্তিতে রাখতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “জাতীয় সংসদে যেন একক কোন দলের আধিপত্য না থাকে। অর্থাৎ নির্বাচিত দলের মতামত প্রকাশের ভারসাম্য থাকতে হবে।”

ঢাকা/অনিক/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স স ক র কর ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।

আরো পড়ুন:

নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়নি: ঢামেক পরিচালক

গণঅধিকারের সমাবেশে বিভিন্ন দলের নেতা: জাতীয় পার্টিকে দ্রুত নিষিদ্ধ কর‌তে হবে

ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বিষয়টি জানিয়ে বলেন, “নুরুল হক নুরকে হাসপাতালের ভিআইপি কেবিন-১ থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। পরে বিকেল পোনে ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।”

এর আগে গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতাকর্মীদের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে সংঘর্ষ হয়, এতে গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন।

নুরুল হক নুরকে প্রথমে রাজধানীর ইসলামিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি প্রায় ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর