তুরস্কে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। বুধবার ইস্তাম্বুলে এ কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের সঙ্গে আতঙ্কে ইস্তাম্বুলে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। কম্পন অনুভূত হওয়ার সাথে সাথে অনেক মানুষ পার্কে জড়ো হয়েছিল এবং অনেকে দরজায় বসেছিল, অথবা ইস্তাম্বুলের কেন্দ্রস্থলে তাদের বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল।
ইস্তাম্বুলের গভর্নরের কার্যালয় জানিয়েছে, ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ার পর মোট ১৫১ জন আহত হয়েছেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, তবে তাদের কারো অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।
কার্যালয় আরো জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলের মধ্যভাগে একটি পরিত্যক্ত ভবন ধসে পড়েছে, তবে সেখানে কেউ আহত হয়নি, বসফরাস প্রণালীর ইউরোপীয় ও এশিয়ান উপকূলে অবস্থিত ১ কোটি ৬০ লাখ জনসংখ্যার শহরে জ্বালানি বা জলের অবকাঠামোর কোনো ক্ষতি হয়নি। কিছু দোকান বন্ধ রয়েছে।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে দক্ষিণ তুরস্ক এবং উত্তর সিরিয়ায় ৫৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১ লাখ ৭ হাজার জনেরও বেশি আহত হয়েছিল।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।