সুরে সুরে সচেতনতায় ময়মনসিংহ, মুগ্ধ শহরবাসী
Published: 23rd, April 2025 GMT
‘সুন্দর পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে একজোট হয়েছি আমরা’, ‘চলো স্কুলেতে যাই, লেখাপড়া শিখবো ভাই’, ‘না জানিয়া না বুঝিয়া রে, ও কেহ গুজবে কান দিও না’—এমন হৃদয়ছোঁয়া গানের কথা ও সুরে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহের সাধারণ মানুষ।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের নিয়মিত শিল্পীদলের দুই দিনের সফরে ময়মনসিংহে যেন তৈরি হয় সঙ্গীত ও সচেতনতার অপূর্ব মেলবন্ধন।
মঙ্গলবার ও বুধবার জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন উদ্যানের বৈশাখী মঞ্চ, মুসলিম ইনস্টিটিউট মিলনায়তন, খাগডহর ইউনিয়নের রহমতপুর বাইপাস মোড় এবং রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে সঞ্চালিত হয় একাধিক পথনাট্য ও সঙ্গীতানুষ্ঠান।
শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়স ও পেশার মানুষ, এমনকি রিকশায় বসে থাকা যাত্রীরাও রীতিমতো উপভোগ করেছেন শিল্পীদের কণ্ঠে দেশপ্রেম, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, ডেঙ্গু প্রতিরোধ, গুজব বিরোধিতা ও টেকসই উন্নয়ন সংক্রান্ত বার্তা।
সমাপনী দিনে মুসলিম ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ তথ্য অফিসের পরিচালক মীর আকরাম শিল্পীদের দলনেতা জাকিউল হাই, কণ্ঠশিল্পী জয়িতা ঘোষ দোলা, প্রিয়াংকা দাশ, মাইদুল হকসহ যন্ত্রশিল্পীদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি ময়মনসিংহবাসীর অংশগ্রহণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, “সঙ্গীতের আহ্বানে যেভাবে মানুষ সাড়া দিয়েছে, তাতে প্রমাণ হয় সচেতনতার পথেও সুর হতে পারে অন্যতম হাতিয়ার।”
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টঙ্গীতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, সাউন্ড নিক্ষেপ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এ ঘটনায় শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি নিক্ষেপ করেছে।
বুধবার সকাল ৯টার থেকে গাজীপুরা এলাকার সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারখানার কয়েক'শ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে শিল্প পুলিশ-২ এবং টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কয়েক দফা চেষ্টা করেও শ্রমিকদের সরাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে।
বিক্ষোভরত শ্রমিক শিল্পি আক্তার বলেন, ঈদের আগে আমাদের অর্ধেক বেতন আর অর্ধেক বোনাস দিয়ে কারখানা ছুটি দেয়। বলা হয়েছিল, ঈদের পরেই বাকী টাকা পরিশোধ হবে। কিন্তু এখনও কিছুই পাইনি। বাড়িওয়ালা তো আশ্বাসে ভাড়া নেয় না, দোকানও বাকির টাকা চায়। সরকার যদি আমাদের পাশে না দাঁড়ায়, আমরা কোথায় যাবো?
আরেক শ্রমিক রহমত বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ আমাদের ওপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া হলো। এভাবে কি শ্রমিকের ন্যায্য দাবি দমন করা যায়?
শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মালিক পক্ষ গত ২০ এপ্রিল কিছু বোনাস পরিশোধ করলেও ২৮ এপ্রিলের মধ্যে পুরো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এতে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ–২ এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।