বই কেবল জ্ঞানের জগৎ প্রসারিত করে না, মানুষের অনুভূতিগুলোকেও জাগ্রত করে। ভালো লেখক বা সম্পাদক হওয়ার পূর্বশর্ত ভালো পাঠক হতে পারা। তবে সৃষ্টিকর্মের ক্ষেত্রে সচেতন হতে হবে যেন মেধাস্বত্ব লঙ্ঘিত না হয়। আজ বুধবার বিশ্ব বই ও মেধাস্বত্ব দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন স্টাডিজ বিভাগের আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, বইয়ের সূত্র ধরে পূর্ব প্রজন্মের অভিজ্ঞতা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছায়। আবার মানুষ পূর্বের জ্ঞানের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়, পৃথিবীর বড় বড় লেখকের ক্ষেত্রেও এটি ঘটেছে। তবে সৃষ্টিকর্মের ক্ষেত্রে মেধাস্বত্বের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
বিভাগের চেয়ারম্যান শিল্পী বেগম, প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুধাংশু শেখর রায়, বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক বিমল গুহ, মোহসিনা ইসলাম, সনজীব কান্তি দাস প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিভাগের শিক্ষক শেখ জিনাত শারমিন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি
চট্টগ্রামে বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা। তবে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন দুবাইয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন। এরপরও তাঁর রক্ষা হয়নি তাঁর। সিলেটে বিমানবন্দর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাতক এই আসামি।
গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। বিমানবন্দরে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে ফিশারিঘাটে মাছের আড়ত ছিল রুহুল আমিনের।
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই চেক প্রতারণার অভিযোগে করা। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন। বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরোয়ানাভুক্ত এই আসামি সাজা ও গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে গোপনে সিলেট হয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পটিয়া থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে গতকাল রাতেই সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকালে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।