সোনারগাঁয়ে গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ সেক্রেটারী বিএনপি সভাপতির হস্তক্ষেপে মুক্ত!
Published: 23rd, April 2025 GMT
সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফ সরকারকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান মুন্সী ও তার ছেলে যুবদল নেতা করিম রহমানের বিরুদ্ধে।
এদিকে যুবলীগ সাধারন সম্পাদক শরিফ সরকারকে ছাড়িয়ে নিতে বিএনপির সভাপতি ও তার ছেলের সুপারিশের ঘটনাটি সর্বত্র “টপ অব দ্যা টকে” পরিণত হয়েছে।
জানাগেছে, সোমবার গভীর রাতে শরিফ সরকারকে সোনারগাঁও থানার উপ পরিদর্শন সারোয়ার হোসেন আটক করলে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান মুন্সী ও তার ছেলে যুবদল নেতা করিম রহমান ছাড়িয়ে নেন।
যুবলীগ নেতাকে পুলিশের হাত থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে নেয়ার ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝেও শুরু হয় নানা গুঞ্জন। অনেকেই আব্দুর রহমান মুন্সি ও তার ছেলে করিম রহমানকে আওয়ামী লীগকে পুন:প্রতিষ্ঠার কারিগর বলে আখ্যায়িত করেন।
বিএনপি নেতাদের দাবী নানা অপকর্মে অভিযুক্ত বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান মুন্সী ও তার ছেলেরা অধিপত্য ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে চলছে।
আর সে কারনেই বারদী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শরিফ সরকারকে ডেভিল হান্ট অপারেশনে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর মোটা অংকের টাকা নিয়ে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেয়।
একই রাতে চেঙ্গাকান্দি গ্রাম থেকে মোবারক হোসেন নামে এক আওয়ামী লীগের কর্মীকেও গ্রেফতার করে এস আই সারোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। পরে শরিফ সরকারকে ছেড়ে দিলেও মোবারক হোসেনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক খায়রুল ইসলাম সজিবের ঘনিষ্টজন করিম রহমান জানান, কারো বিরুদ্ধে মামলা না থাকলে তাকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেয়া কোন অপরাধ নয়। শরিফ সরকারের নামে মামলা না থাকায় তাকে ছেড়ে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেছি।
এ বিষয়ে বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান মুন্সী জানান শরিফ সরকারের নামে কোন মামলা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সারোয়ার জানান, বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান মুন্সী ও তার ছেলে শরিফ সরকারকে বিএনপির কর্মী বলে দাবি করায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও য বল গ য বল গ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আবদ র রহম ন ম ন স দ র রহম ন ম ন স কর ম রহম ন স ন রগ য বল গ
এছাড়াও পড়ুন:
কোটি টাকা ছিনতাই করতে সড়কে অপেক্ষায় ছিল দুর্বৃত্তরা: পুলিশ
রাজধানীর উত্তরায় এক কোটি ১৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত বলে জানিয়েছে পুলিশ। আগে থেকে ব্যাগভর্তি টাকা ছিনতাই করতে সড়কে অপেক্ষায় ছিল দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ জানিয়েছে, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ছাড়াও প্রযুক্তিগত তদন্ত করছে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর উত্তরার ১২ ও ১৩ নম্বর সড়কের মোড়ে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দুটি মোটরসাইকেলে থাকা চার আরোহীকে গতিরোধ করে একটি মাইক্রোবাস। র্যাবের পোশাক পরিহিত তিনজন মাইক্রোবাস থেকে নেমে আসে। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহীদের দু’জন ভয়ে তাদের কাছে থাকা টাকা ভর্তি দুটি ব্যাগ নিয়ে দৌড় দেন। তাদের পিছু নেয় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। মোটরসাইকেলের এক আরোহীকে ধরে এনে মাইক্রোবাসে তুলে ১ কোটি ১৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। ভুক্তভোগীদের একজন বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উত্তরায় ছিনিয়ে নেওয়া টাকা মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান নগদের এক এজেন্টের।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি মহিদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, দুটি মোটরসাইকেলে যখন নগদের এজেন্টের লোকজন টাকা নিয়ে ১২ ও ১৩ নম্বর সড়কের সংযোগস্থল অতিক্রম করছিল তখন তাদের ব্যারিকেড দেওয়া হয়। মাইক্রোবাস থেকে নেমে র্যাবের পোশাক পরিহিত তিনজন মোটরসাইকেল আরোহীদের গতিরোধ করে। ঘটনাস্থলে আগে থেকে মাইক্রোবাস নিয়ে দুর্বৃত্তরা অপেক্ষা করছিল। এটি পরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। বেশ কয়েকটি ক্লু ধরেই তদন্ত চলছে। প্রতিষ্ঠানের ভেতরের কোনো প্লট রয়েছে কি–না সেটিও দেখা হচ্ছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট আরেক কর্মকর্তা বলছেন, ছিনতাইকাণ্ডে যে গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে সেটির নম্বর প্লেট ভুয়া ছিল। পেশাদার অপরাধী চক্র, আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স নাকি অন্য কোনো গ্রুপ এর সঙ্গে জড়িত তা বের করার চেষ্টা চলছে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ছুটির দিন সকালে ঘটনাস্থলে দুর্বৃত্তরা আগেভাগে হাজির হয়। এরপর কোটি টাকা ছিনতাই করে ১৭ নম্বর সেক্টর হয়ে তুরাগের দিকে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
নগদের ডিস্ট্রিবিউটর আব্দুল খালেক নয়ন বলেন, ঈদের ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ থাকায় টাকা জমা দেওয়া যায়নি। ছুটির মধ্যে ব্যবসার টাকা আমার বাসায় রাখা ছিল। শনিবার উত্তরার ইসলামী ব্যাংক শাখা বিশেষ ব্যবস্থায় খোলা ছিল। তাই ব্যাংকে এবং বুথে জমা দেওয়ার জন্য চার কর্মচারীকে দিয়ে ওই টাকা অফিসে পাঠানো হচ্ছিল।