সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফ সরকারকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান মুন্সী ও তার ছেলে যুবদল নেতা করিম রহমানের বিরুদ্ধে। 

এদিকে যুবলীগ সাধারন সম্পাদক শরিফ সরকারকে ছাড়িয়ে নিতে বিএনপির সভাপতি ও তার ছেলের সুপারিশের ঘটনাটি সর্বত্র “টপ অব দ্যা টকে” পরিণত হয়েছে।

জানাগেছে, সোমবার গভীর রাতে শরিফ সরকারকে সোনারগাঁও থানার উপ পরিদর্শন সারোয়ার হোসেন আটক করলে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান মুন্সী ও তার ছেলে যুবদল নেতা করিম রহমান ছাড়িয়ে নেন। 

যুবলীগ নেতাকে পুলিশের হাত থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে নেয়ার ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝেও শুরু হয় নানা গুঞ্জন। অনেকেই আব্দুর রহমান মুন্সি ও তার ছেলে করিম রহমানকে আওয়ামী লীগকে পুন:প্রতিষ্ঠার কারিগর বলে আখ্যায়িত করেন। 

বিএনপি নেতাদের দাবী নানা অপকর্মে অভিযুক্ত বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান মুন্সী ও তার ছেলেরা অধিপত্য ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে চলছে।

আর সে কারনেই বারদী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শরিফ সরকারকে ডেভিল হান্ট অপারেশনে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর মোটা অংকের টাকা নিয়ে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেয়। 

একই রাতে চেঙ্গাকান্দি গ্রাম থেকে মোবারক হোসেন নামে এক আওয়ামী লীগের কর্মীকেও গ্রেফতার করে এস আই সারোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ। পরে শরিফ সরকারকে ছেড়ে দিলেও মোবারক হোসেনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। 

জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক খায়রুল ইসলাম সজিবের ঘনিষ্টজন করিম রহমান জানান, কারো বিরুদ্ধে মামলা না থাকলে তাকে পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেয়া কোন অপরাধ নয়। শরিফ সরকারের নামে মামলা না থাকায় তাকে ছেড়ে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেছি। 

এ বিষয়ে বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান মুন্সী জানান শরিফ সরকারের নামে কোন মামলা না থাকায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সারোয়ার জানান, বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান মুন্সী ও তার ছেলে শরিফ সরকারকে বিএনপির কর্মী বলে দাবি করায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও য বল গ য বল গ ব এনপ ন র য়ণগঞ জ আবদ র রহম ন ম ন স দ র রহম ন ম ন স কর ম রহম ন স ন রগ য বল গ

এছাড়াও পড়ুন:

মামদানির উত্থান থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন ইউরোপের বামপন্থীরা

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির উত্থান ইউরোপের বামপন্থী রাজনীতিকদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। ফ্রান্স, জার্মানিসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে আগামী বছর স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই মঙ্গলবার ৪ নভেম্বর নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউরোপের নেতারা চোখ রাখছেন মামদানির ওপর।

মামদানির নির্বাচনী প্রচার দেখতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দলীয় কৌশলবিদেরা আগেই আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে নিউইয়র্কে এসেছেন। তাঁদের লক্ষ্য, মামদানিকে কাছ থেকে দেখে তাঁর রাজনীতির কৌশল শেখা। কারণ, মামদানি একেবারে সাধারণ অবস্থান থেকে উঠে এসে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহরের নেতৃত্বের দৌড়ে শীর্ষে পৌঁছেছেন। ইউরোপের রাজনীতিকেরা শিখতে চান, মামদানির তৃণমূলভিত্তিক প্রচারণা নিউইয়র্কে যেমন সফল হয়েছে, সেটি তাঁদের অঞ্চলেও কার্যকর হবে কি না।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বামপন্থীদের জোট দ্য লেফট গ্রুপের ফরাসি সহসভাপতি মানোঁ ওব্রি গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে মামদানির প্রচারে অংশ নেন। ওব্রি ও তাঁর দল ফ্রান্স আনবাউড মামদানিকে পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে দেখছেন। তাঁরা মামদানির মডেল অনুসরণ করে ফ্রান্সজুড়ে ২০২৬ সালের পৌরসভা নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলতে চান।

জার্মানির পুঁজিবাদবিরোধী দল দ্য লেফট নিউইয়র্কে চার কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছে। তাঁরা মামদানির প্রচারকৌশলের প্রধান মরিস ক্যাটজসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দলটির সংসদীয় কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক লিজা ফ্লাউম বলেন, মামদানির মতো কৌশল অনুসরণ করে অতীতে তাঁদের দল ভালো করেছে। জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর বিষয়টি তাঁদের কাছে বেশি গুরুত্ব পেয়েছিল। এর পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে দরজায় দরজায় গিয়ে প্রচারের কৌশল নিয়েছিল তাঁদের দল। ফ্লাউম আশা করেন, বার্লিনে আগামী সেপ্টেম্বরের আইনসভা নির্বাচনে দ্য লেফট মামদানির বর্তমান প্রচারণাকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করবে।

এদিকে মেয়র নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকা মামদানি বিদেশে তাঁর প্রচারকৌশল নিয়ে মাতামাতির বিষয়টিকে এখন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে মামদানি বলেন, আপাতত তাঁর মনোযোগ পুরোপুরি স্থানীয় রাজনীতিতে।

ফ্রান্স ও জার্মানির মতোই যুক্তরাজ্যের রাজনীতিকেরা মামদানির প্রচারকৌশল দেখে মুগ্ধ। মামদানির ছোট ছোট ভিডিওতে ব্যক্তিত্ব ও আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে জীবনযাত্রার খরচের বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আবার তাঁকে একই সঙ্গে আপনজন হিসেবেও উপস্থাপন করা হয়েছে।

আরও পড়ুননিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন: সর্বশেষ চার জরিপেও এগিয়ে জোহরান মামদানি৭ ঘণ্টা আগে

ফ্রান্স আনবাউডের সংসদ সদস্য দানিয়েল ওবোনো বলেন, ‘মামদানির দলীয় নির্বাচনে জয়টাই একটা বড় রাজনৈতিক ঘটনা। শুধু তিনি কী নিয়ে লড়েছেন, তা–ই নয়, বরং কীভাবে লড়েছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর যোগাযোগের কৌশল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারসহ অনেক কিছুই আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’

যুক্তরাজ্যের গ্রিন পার্টির নেতা মোথিন আলি বলেন, বামপন্থীদের এখন শেখা দরকার, কীভাবে মামদানির মতো করে সংক্ষিপ্ত অথচ প্রভাবশালী বার্তা পৌঁছে দিতে হয়। যুক্তরাজ্যের সাবেক লেবার নেতা এবং বর্তমানে ইয়োর পার্টির নেতৃত্বে থাকা জেরেমি করবিনও এক এক্স পোস্টে মামদানির প্রচারে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন।

আরও পড়ুননিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট, তরুণেরা কেন আগাম ভোট দিচ্ছেন৯ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ