ফেনীর ফুলগাজীর এক মাদক কারবারিকে নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ‘দৈনিক ফেনী’ ও ‘ঢাকা পোস্ট’-এর সাংবাদিকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়েছে। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ফুলগাজী আমলী আদালতের বিচারক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরার আদালতে মামলাটি করেন ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রহিম উল্ল্যাহ।

আরো পড়ুন: ‘ঢাকা-চিটাগংয়ের সাংবাদিকদেরই গুনি না, আপনি তো ফেনীর!’

আরো পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় সাংবাদিক রুবেল গ্রেপ্তার

ইসরায়েলি হামলায় সাংবাদিক নিহতের প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন

মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক ও ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি তারেক চৌধুরীকে। মামলায় দৈনিক ফেনীর সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভীর নামও উল্লেখ করা হয়েছে, যদিও এজাহারে ভুলবশত ‘আরিফুর রহমান’ লেখা হয়েছে। আরো আসামি করা হয়েছে সাংবাদিক মামুনুর রহমান, জামশেদ আলম অনিক এবং ওমর ফারুককে।

এজাহারে রহিম উল্ল্যাহ দাবি করেন, সাংবাদিকরা তার দোকানে গিয়ে চাঁদা দাবি করেছেন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংবাদ প্রকাশ করে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করেছেন। তিনি নিজেকে বিএনপি কর্মী ও নির্বাচিত ইউপি সদস্য বলেও উল্লেখ করেন।

অভিযুক্ত সাংবাদিক ও সম্পাদক এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।

দৈনিক ফেনীর নিজস্ব প্রতিবেদক তারেক চৌধুরী বলেন, “এটি একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে রহিম উল্ল্যাহর বক্তব্য নেওয়া হয় ফোনে। তিনি নিজেই স্বীকার করেন এসব কার্যক্রম তার পেশা। কথোপকথনের সম্পূর্ণ রেকর্ড সংরক্ষিত আছে, কোথাও চাঁদা দাবির বিষয় নেই।”

দৈনিক ফেনীর সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভী বলেন, “আমাদের কোনো প্রতিবেদক রহিম উল্ল্যাহর দোকানে যায়নি। তার স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যসহ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। আদালতের মামলা গ্রহণ দুঃখজনক হলেও দৈনিক ফেনী সত্য প্রকাশে অটল থাকবে।”

গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দৈনিক ফেনীতে ‘সীমান্তে চোরাচালানে সাম্রাজ্যে ইউপি সদস্য, বললেন ব্যবসা করি’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে রহিম উল্ল্যাহসহ একাধিক ব্যক্তির সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক, চোরাচালান ও মানবপাচার সংশ্লিষ্টতার চিত্র উঠে আসে।

ঢাকা/সাহাব/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ