যশোরে পাঁচ নদীতে আটটি সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। কম দীর্ঘ ও কম উচ্চতার অভিযোগে গত বছরের মে মাসে হাইকোর্ট এসব নির্মাণকাজ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দেন। এর পর থেকে সেতুগুলো অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এরই মধ্যে যশোর সদরের পুলেরহাট-রাজগঞ্জ সড়কের গোয়ালদহ বাজারে হরিহর নদে একই ধরনের আরেকটি সেতু নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

এক কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের নভেম্বরে। আগামী নভেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে মোজাহার এন্টারপ্রাইজ, তাহের ব্রাদার্স ও মেসার্স শামীম চাকলাদার।

কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় হরিহর নদ পুনর্খনন করছে সেনাবাহিনী। স্থানীয়দের অভিযোগ, খননের সময় সেতুটি ঝুঁকিতে পড়বে। কারণ বর্তমান তলদেশ থেকে আরও সাত-আট ফুট গভীর করে খনন করা হবে। তখন সেতুটির দাঁড়িয়ে থাকা কঠিন হবে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন খোদ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রকৌশলীরা।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঐক্য-বন্ধনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেন, আগে এখানে কালভার্ট ছিল। এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। কিন্তু এটিও কালভার্টের আদলে করা হচ্ছে। আমরা বললেও এলজিইডি তা আমলে নিচ্ছে না।

যশোরের নদী বাঁচাও আন্দোলনের উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, এলজিইডি নিয়ম ভেঙে হরিহর নদের ওপর সেতুর নামে কালভার্ট তৈরি করছে। এভাবে নদীকে হত্যা করা হচ্ছে। কয়েক দফা চিঠি দিলেও তারা কাজ বন্ধ করেনি।

পাউবো যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জি বলেন, ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে হরিহরসহ চারটি নদনদী খনন করছে সরকার। আমাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই গোয়ালদহ বাজারে কম দীর্ঘ ও কম উচ্চতার সেতু নির্মাণ করছে এলজিইডি। তিনি বলেন, পুরোনো সেতুর ইট-সিমেন্টের অংশ নদের বক্ষে ফেলায় ভরাট হয়ে গেছে। এসব বর্জ্য অপসারণে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে এলজিইডি যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহবুবুর রহমান বলেন, হরিহর নদের ওপর ৩০ মিটার দীর্ঘ সেতু তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যে স্রোত যাওয়ার জন্য সেতুর মধ্যবর্তী স্থানে ১৫ মিটারের মতো জায়গা রাখা হয়েছে। নদীর তলদেশে পানির স্তর থেকে ২ দশমিক ৪৬ মিটার উচ্চতা থাকছে। নীতিমালা মেনেই সেতু তৈরি করা হচ্ছে। ৫৫ শতাংশ কাজ হয়েছে; নির্ধারিত সময়ে বাকিটা শেষ করা হবে।

আটটি সেতুর কাজ বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, মানুষের ভোগান্তি হলেও কিছু করার নেই। আদালত নির্দেশনা দিলে সে অনুযায়ী কাজ করা হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: যশ র ক জ বন ধ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ