জজের বাসা থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
Published: 24th, April 2025 GMT
ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্পেশাল জজ ফারহানা ফেরদৌসের বাসা থেকে চুরি হওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জুয়েল মিয়া (৪৫) নামের এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জুয়েল মিয়া মহানগরীর কালীবাড়ি পুরাতন গুদারাঘাট এলাকার মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় ১২টি চুরির মামলা রয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাস্থল এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযান শুরু করে পুলিশ। বুধবার ভোররাত ৪টার দিকে জেলার তারাকান্দা উপজেলায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া মালামালসহ এক জনকে গ্রেপ্তার করে।’’
আরো পড়ুন:
হবিগঞ্জের শ্রমিক লীগ নেতা কারাগারে
ফেনীতে বিএনপি কর্মীকে হত্যায় গ্রেপ্তার ৫
এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিট থেকে ১০টা ৫০মিনিটের মধ্যে ময়মনসিংহ নগরীর পন্ডিতপাড়া এলাকার মুমিনুন্নিসা এক্সেল টাওয়ারের ১০ তলার বাসিন্দা স্পেশাল জজ ফারহানা ফেরদৌস এর ফ্ল্যাটে চুরি হয় বলে অভিযোগ উঠে। চোর ফ্ল্যাটের দরজার তালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে নগদ ২ লাখ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং ১৫টি শাড়ি নিয়ে যায়।
ঢাকা/মিলন/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ করেছেন যমুনা অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মিলগেট এলাকায় প্রথমে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে পরে আঞ্চলিক সড়কে তাঁরা বিক্ষোভ করেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শ্রমিকেরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলে তাঁদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলা হলে তাঁরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কারখানার শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর যমুনা অ্যাপারেলস কারখানায় ২২ এপ্রিল বিশৃঙ্খলাসহ নানা অভিযোগে কারখানার ১১৪ শ্রমিককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয় কর্তৃপক্ষ। শ্রম আইন অনুযায়ী তাঁদের সব পাওনা পরিশোধও করা হয়। শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে ২৩, ২৪ ও ২৫ এপ্রিল কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২৬ এপ্রিল কারখানা খুলে দেওয়া হলে সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেন। এরপর ওই দিন চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। এর পর থেকে শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে কারখানা বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
আজ সকালে বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া ও ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা। প্রথমে তাঁরা ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। পরে তাঁরা আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শিল্প পুলিশ, থানা–পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের ধাওয়া ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
কারখানার শ্রমিকদের অভিযোগ, ১০ দিন আগে কারখানার কোয়ালিটি সেকশনের শ্রমিক মো. হুমায়ুন দুই দিনের ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না পেয়ে হুমায়ুন নিজেই অনুপস্থিত থাকেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান তাঁর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান এবং হুমায়ুনকে মারধর ও গুম করার হুমকি দেন। একপর্যায়ে হুমায়ুনকে কারখানার নিচতলার গুদামঘরের বাথরুমে আটকে রাখা হয়। চার ঘণ্টা পর হুমায়ুন মুঠোফোনে সহকর্মীদের খবর দিলে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনার জেরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১১৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করে। শ্রমিক ছাঁটাই, গুমের হুমকি ও বহিরাগতদের দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। এ সময় কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়।