মুস্তাফিজকে ছাড়িয়ে রেকর্ডবুকে বুমরাহ
Published: 24th, April 2025 GMT
জয়টা সহজেই পেয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। হায়দরাবাদের বিপক্ষে সাত উইকেটের জয়ে আইপিএলে টানা চতুর্থবার জিতল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্সে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে। তবে ম্যাচে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠলেন জাসপ্রিত বুমরাহ—উইকেটের হিসেবে নয়, রেকর্ডের দিক দিয়ে।
হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৪ ওভার বোলিং করে ৩৯ রানে একটি উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ। সেই এক উইকেটেই স্পর্শ করেছেন টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি তার ৩০০তম উইকেট। ভারতের দ্বিতীয় পেসার হিসেবে এবং পেস-স্পিন মিলিয়ে পঞ্চম বোলার হিসেবে এই রেকর্ড গড়লেন তিনি। তার আগে রয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল (৩৭৩), পীযুষ চাওলা (৩১৯), ভুবনেশ্বর কুমার (৩১৮) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৩১৫)।
আরেকটি দারুণ কীর্তি গড়েছেন বুমরাহ ইনিংসের দিক থেকে। মাত্র ২৩৭ ইনিংসে তিনি ৩০০ উইকেট পূর্ণ করেছেন, যা পেসারদের মধ্যে ইতিহাসে তৃতীয় দ্রুততম। তার চেয়ে এগিয়ে কেবল অ্যান্ড্রু টাই (২০৮ ইনিংস) ও লাসিথ মালিঙ্গা (২১৭ ইনিংস)। বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান ৩০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন ২৪১ ইনিংসে—সেই রেকর্ডও পেছনে ফেলেছেন বুমরাহ।
আরও একটি রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছেন বুমরাহ—মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে আইপিএলে এখন তার উইকেট সংখ্যা ১৭০, মালিঙ্গার সঙ্গে যৌথভাবে তিনিই এখন দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ২০১৩ সালে আইপিএলে অভিষেকের পর থেকে বুমরাহ হয়ে উঠেছেন মুম্বাইয়ের আস্থার প্রতীক। এবার সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন রেকর্ডে নাম লিখিয়ে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম স ত ফ জ র রহম ন উইক ট র র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’