জয়টা সহজেই পেয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। হায়দরাবাদের বিপক্ষে সাত উইকেটের জয়ে আইপিএলে টানা চতুর্থবার জিতল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্সে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে। তবে ম্যাচে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠলেন জাসপ্রিত বুমরাহ—উইকেটের হিসেবে নয়, রেকর্ডের দিক দিয়ে।

হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৪ ওভার বোলিং করে ৩৯ রানে একটি উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ। সেই এক উইকেটেই স্পর্শ করেছেন টি-টোয়েন্টিতে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি তার ৩০০তম উইকেট। ভারতের দ্বিতীয় পেসার হিসেবে এবং পেস-স্পিন মিলিয়ে পঞ্চম বোলার হিসেবে এই রেকর্ড গড়লেন তিনি। তার আগে রয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল (৩৭৩), পীযুষ চাওলা (৩১৯), ভুবনেশ্বর কুমার (৩১৮) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৩১৫)।

আরেকটি দারুণ কীর্তি গড়েছেন বুমরাহ ইনিংসের দিক থেকে। মাত্র ২৩৭ ইনিংসে তিনি ৩০০ উইকেট পূর্ণ করেছেন, যা পেসারদের মধ্যে ইতিহাসে তৃতীয় দ্রুততম। তার চেয়ে এগিয়ে কেবল অ্যান্ড্রু টাই (২০৮ ইনিংস) ও লাসিথ মালিঙ্গা (২১৭ ইনিংস)। বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান ৩০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন ২৪১ ইনিংসে—সেই রেকর্ডও পেছনে ফেলেছেন বুমরাহ।

আরও একটি রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছেন বুমরাহ—মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে আইপিএলে এখন তার উইকেট সংখ্যা ১৭০, মালিঙ্গার সঙ্গে যৌথভাবে তিনিই এখন দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ২০১৩ সালে আইপিএলে অভিষেকের পর থেকে বুমরাহ হয়ে উঠেছেন মুম্বাইয়ের আস্থার প্রতীক। এবার সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন রেকর্ডে নাম লিখিয়ে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম স ত ফ জ র রহম ন উইক ট র র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

২৫০ পর্বে ‘হাবুর স্কলারশিপ’

অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে বৈশাখী টেলিভিশনের জনপ্রিয় দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক ‘হাবুর স্কলারশিপ’। বুধবার (৩০ জুলাই) প্রচারিত হবে নাটকটির ২৫০তম পর্ব। 

সাধারণ একজন গ্রাম্য যুবকের অসাধারণ এক সফলতার গল্প নিয়ে নির্মিত ধারাবাহিক নাটকটি প্রচার হচ্ছে প্রতি মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে। 

নাটকটির মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন—রাশেদ সীমান্ত। এবারই প্রথম কোনো দীর্ঘ ধারাবাহিকে নিয়মিত অভিনয় করছেন তিনি। তার পাশাপাশি আছেন তানজিকা আমিন, অহনা রহমান, নীলা ইসলাম, শফিক খান দিলু, বিনয় ভদ্র, ফাতেমা হীরা, হায়দার আলী, সাইকা আহমেদ, নেহা মনি, সিদ্দিক মাস্টার, নিজামউদ্দিন, জামাল রাজা, ম আ সালাম প্রমুখ। 

আরো পড়ুন:

‘কোনো দিন জন্মদিন পালন করা হতো না, কেক কাটাও হতো না’

পরিচালককে অভিনেত্রীর জুতাপেটা (ভিডিও)

গল্প ও প্রযোজনার দিক থেকেও নাটকটি ব্যতিক্রম। নাটকটির গল্প লিখেছেন বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন। চিত্রনাট্য রচনা করেছেন আহসান আলমগীর। পরিচালনা করেছেন আল হাজেন। 

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘মিড এন্টারপ্রাইজ’ সূত্রে জানা যায়, দেশের পাশাপাশি নাটকটির দৃশ্যধারণ হয়েছে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায়, যা বাংলাদেশের টিভি নাটকের ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক। ইউরোপের আরো কয়েকটি দেশে শুটিংয়ের পরিকল্পনাও রয়েছে। 

‘হাবুর স্কলারশিপ’-এর গল্প আবর্তিত হয়েছে গ্রামের এক সহজ-সরল ছেলে হাবুকে ঘিরে, যিনি স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যান অস্ট্রেলিয়ার এনএসডব্লিউ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে নিজের মেধা দিয়ে পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে প্রথম হন হাবু। সহপাঠী মারজান তার দুর্দিনে হয়ে ওঠেন হাবুর একমাত্র ভরসা। 

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাকাল্টি মেম্বার হওয়ার প্রস্তাব পেলেও, হাবু অস্ট্রেলিয়ায় থেকে যাওয়ার লোভ সামলে দেশে ফিরে আসেন, কারণ ‘মেধা দেশের জন্যই কাজে লাগাতে চায়’ সে। দেশের মাটিতে ফিরে হাবু পরিণত হয় এক প্রতিবাদী চরিত্রে। নাটকের দোলন চাঁপার ষড়যন্ত্র ঠেকিয়ে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে ওঠেন।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২৫০ পর্বে ‘হাবুর স্কলারশিপ’