বরগুনার তালতলীতে খালে পড়ে নিখোঁজের তিন ঘণ্টা পর মো. মাহাদী নামের দুই বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। নিহত মাহাদী চন্দনতলা গ্রামের শামীমের ছেলে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চন্দনতলা এলাকার বগীর খাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শিশুটি সকাল ৯টার দিকে খালে ডুবে নিখোঁজ হয়। 

জানা যায়, মাহাদীর মা নিজেদের মুরগির খামারে কাজ করছিলেন। এ সময় মাহাদী অন্য শিশুদের সঙ্গে খাল পাড়ে খেলতে গিয়ে পা পিছলে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। স্বজনরা খোঁজ করে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক চেষ্টা চালিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। পরে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে তালতলী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার এস এম নুরুজ্জামান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ