বরগুনায় খালে পড়ে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
Published: 24th, April 2025 GMT
বরগুনার তালতলীতে খালে পড়ে নিখোঁজের তিন ঘণ্টা পর মো. মাহাদী নামের দুই বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। নিহত মাহাদী চন্দনতলা গ্রামের শামীমের ছেলে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চন্দনতলা এলাকার বগীর খাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শিশুটি সকাল ৯টার দিকে খালে ডুবে নিখোঁজ হয়।
জানা যায়, মাহাদীর মা নিজেদের মুরগির খামারে কাজ করছিলেন। এ সময় মাহাদী অন্য শিশুদের সঙ্গে খাল পাড়ে খেলতে গিয়ে পা পিছলে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। স্বজনরা খোঁজ করে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক চেষ্টা চালিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। পরে শিশুটির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে তালতলী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার এস এম নুরুজ্জামান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক
ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।
আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি।