সিদ্ধিরগঞ্জে অবৈধভাবে জ্বালানি তেল বিক্রয় বন্ধ করতে মতবিনিময় সভা
Published: 24th, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের গোদনাইল ডিপোর পাশ্ববর্তী এলাকায় অবৈধভাবে জ্বালানি তেলের বিক্রয় বন্ধে করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেডের গোদনাইল ডিপোতে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (বিপণন) ও সরকারের যুগ্ম সচিব জনাব মো.
বিপিসি’র ব্যবস্থাপক (বিপণন) জনাব মো. আল আমীনের পরিচালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান।
অংশগ্রহণকারী অংশীজনদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনাব মো. অকিল ভূঁইয়া, মো. ফজলুল হক, মো. আনোয়ার হোসেন মেহেদী, মো. সাইজুদ্দীন মাতবর, জনাব কামাল বিশ্বাস, মো. মিলন ভূঁইয়া, জনাব মো. ইসমাইল এবং শ্রমিক প্রতিনিধি হাজি মো. জাহিদ হোসেন, জনাব এস এম আসলাম প্রমুখ।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ টিপু সুলতান এবং বিপিসি’র পক্ষে মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) জনাব মোহাম্মদ জাহিদ হোসাইন।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ শামস্, এসি ল্যান্ড (সিদ্ধিরগঞ্জ) জনাব দেবযানী কর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জনাব মো. সোহেল রানা এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব নিলুফা ইয়াসমিন।
সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, রাষ্ট্রীয় তেল বিপণন কোম্পানি পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামের গোদনাইল ডিপোর আশেপাশে গড়ে ওঠা ভাসমান ও অবৈধ জ্বালানি তেল বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সকল এসোসিয়েশন কর্তৃক আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ সকল অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়ীদের নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেয়ার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
অন্যথায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ কার্যক্রম ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে।
জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির ড্রাইভার শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদানের বিষয়ে মালিক সমিতি সভায় ঐকমত্য পোষণ করেন। এছাড়া সকল গাড়ীতে Vehicle Tracking System (VTS) স্থাপন ও সচল রাখার বিষয়েও মালিক সমিতি আশ্বাস প্রদান করেন।
সভায় পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ডিপো ইনচার্জগণ উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব যবস থ জন ব ম ব পণন
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যাপে পরিচয়-প্রেম, বিয়ে করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এলেন চীনের যুবক
ভাষা, সংস্কৃতি ও হাজার মাইলের দূরত্বকে হার মানিয়েছে ভালোবাসা। ভালোবাসার টানে এক তরুণীকে বিয়ে করতে বাংলাদেশে এসেছেন চীনের এক যুবক। গত শুক্রবার রাতে চীন থেকে ঢাকায় পৌঁছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এক তরুণীর বাসায় আসেন তিনি। আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে তাঁরা বিয়ে সম্পন্ন করবেন।
চীনের যুবকের নাম ওয়াং তাও (৩৬)। চীনের হোয়ানান প্রদেশের ওয়াং ইচাং চাওয়ের ছেলে তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুন্ডা ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের তাহের মিয়ার মেয়ে সুরমা আক্তারের (২২) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আছে তাঁর। সুরমা একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন এবং ঢাকার লালবাগে থাকেন। আজ রোববার তাঁরা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন বলে তরুণীর পরিবার জানিয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছান চীনের যুবক ওয়াং তাও। বিমানবন্দর থেকে চীনের যুবককে আতিথেয়তা দিয়ে নিজ বাড়ি নাসিরনগরের কুন্ডার কোনাপাড়ায় নিয়ে আসেন তরুণী সুরমাসহ তাঁর পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও তরুণীর পরিবারের দাবি, দেড় থেকে দুই মাস আগে ডেটিং এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ওয়ার্ল্ড টক’ নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে ওয়াং তাওয়ের সঙ্গে সুরমার পরিচয় হয়। তাঁরা নিয়মিত চ্যাটে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। বিষয়টি চীনের যুবক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তরুণী নিজ নিজ পরিবারকে জানান। উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাঁরা একে অপরকে বিয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। পরে চীনের যুবক বাংলাদেশ ও চীনের দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসেন। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে দুপুরের পর থেকে চীনের যুবককে দেখার জন্য সুরমার বাড়িতে ভিড় করেন স্থানীয় লোকজন।
সুরমা স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ‘ওয়ার্ল্ড টক’ অ্যাপের মাধ্যমে চীনের যুবক ওয়াং তাওয়ের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে চ্যাট করতেন। একপর্যায়ে তাঁরা পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের সিদ্ধান্তে পৌঁছান।
সুরমার মা নুরেনা বলেন, ‘আমার মেয়ের ভালোবাসা পেতে চীন থেকে যুবক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে চলে এসেছে। ওই যুবক কোনো ধর্মই বিশ্বাস করে না। মেয়েকে বিয়ে করতে প্রয়োজনে সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে রাজি হয়েছে। আগামীকাল (আজ) রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে মুসলিম রীতি মেনে সুরমাকে বিয়ে করবে চীনের যুবক। এতে দুই পরিবারের সম্মতি আছে। আমরা এই বিয়েতে আনন্দিত। মেয়ের খুশিই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
নাসিরনগর থানার কুন্ডা বিট উপপরিদর্শক (এসআই) জাহান-ই-আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে কুন্ডা গ্রামে যাই। পাসপোর্ট দেখে নিশ্চিত হলাম যে যুবক চীনের নাগরিক। ওই তরুণী ঢাকার লালবাগে থাকেন। ‘ওয়ার্ল্ড টক’ নামের একটি অ্যাপসের মাধ্যমে তাঁদের পরিচয়। একপর্যায়ে তাঁরা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। চীনের যুবক ইংরেজি বোঝেন না। তাই কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে কথা বলতেন। তরুণী ও তাঁর পরিবার জানিয়েছে, রোববার হলফনামার মাধ্যমে চীনের যুবক মুসলিম হবেন। তারপর তাঁরা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।’ তরুণীর বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, চীনের যুবক এক থেকে দেড় মাস থাকবেন। যাওয়ার সময় হয় ওই তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন বা পরে নিয়ে যাবেন।