কুমিল্লা নগীর তিন এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নগরীর রানীর দিঘির পাড়, তালপুকুরপাড় ও আদালতপাড়া এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের মহড়া দিতে দেখা যায়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, কান্দিরপাড় এলাকা পার হয়ে রানীর দিঘির দক্ষিণপাড়ে শতাধিক কিশোর দেশীয় অস্ত্র হাতে ছোটাছুটি করেছে। অন্তত ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেল বিকট আওয়াজ তুলে এসময় সড়ক প্রদক্ষিণ করে। তখন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় আসা পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

দেবিদ্বার থেকে মেয়েকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে নিয়ে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘কিশোরদের অস্ত্র হাতে মহড়া দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি।’

নগরীর তালপুকুরপাড় এলাকার বাসিন্দারা জানান, বিকেলে এক থেকে দেড়শ জন কিশোর ছেনি, রামদা ও চাপাতি হাতে এলাকায় আসে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আদালতপাড়া এলাকায় কিশোর গ্যাং তাদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহড়া দেয়। এ সময় সড়কে চলাচলরত যানবাহনের চালকরা ভয়ে সড়কের পাশে অবস্থান নেয়।

জানা যায়, কুমিল্লা নগরীতে ডজন খানেক কিশোর গ্যাং আধিপত্য বজায় রাখতে প্রায়ই এভাবে শক্তির মহড়া দেয়।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম সমকালকে জানান, কিশোর গ্যাংয়ের মহড়ার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযানে নেমেছে। দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মহড় আতঙ ক

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ