প্রেমিক বজ্রসেনকে প্রাণে বাঁচাতে মরিয়া ছিলেন রাজসভার নর্তকী শ্যামা। চুরির অপবাদে আটক হন বজ্রসেন; প্রেমিকার কপালে চিন্তার ভাঁজ, চোখে–মুখে রাজ্যের ভয়। প্রেমিককে ছাড়াতে কী করেন শ্যামা?—তা নিয়েই আবর্তিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্য শ্যামা। এতে শ্যামা চরিত্রকে প্রাণ দিয়েছেন নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ। চরিত্রটিতে নিজেকে ঢেলে দিয়েছেন তিনি। নৃত্যের ছন্দে প্রেম, আকুলতাকে জীবন্ত করে তুলেছেন এই তারকা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্মের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী নাচের মেলবন্ধন ঘটিয়েছে ‘মায়া বেঙ্গল ইন মোশন: টাইমলেস টেগোর’। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার আলোকি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মৌসহ নৃত্যশিল্পীরা আলো ছড়িয়েছেন। এটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে এমডব্লিউ ম্যাগাজিন বাংলাদেশ ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্র্যান্ড মায়া।
‘এসো শ্যামল সুন্দর’ গানে কত্থক নৃত্য পরিবেশন করেন আনিকা কবির শখ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।