প্রেমিক বজ্রসেনকে প্রাণে বাঁচাতে মরিয়া ছিলেন রাজসভার নর্তকী শ্যামা। চুরির অপবাদে আটক হন বজ্রসেন; প্রেমিকার কপালে চিন্তার ভাঁজ, চোখে–মুখে রাজ্যের ভয়। প্রেমিককে ছাড়াতে কী করেন শ্যামা?—তা নিয়েই আবর্তিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নৃত্যনাট্য শ্যামা। এতে শ্যামা চরিত্রকে প্রাণ দিয়েছেন নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ। চরিত্রটিতে নিজেকে ঢেলে দিয়েছেন তিনি। নৃত্যের ছন্দে প্রেম, আকুলতাকে জীবন্ত করে তুলেছেন এই তারকা।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্মের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী নাচের মেলবন্ধন ঘটিয়েছে ‘মায়া বেঙ্গল ইন মোশন: টাইমলেস টেগোর’। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার আলোকি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মৌসহ নৃত্যশিল্পীরা আলো ছড়িয়েছেন। এটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে এমডব্লিউ ম্যাগাজিন বাংলাদেশ ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্র্যান্ড মায়া।
‘এসো শ্যামল সুন্দর’ গানে কত্থক নৃত্য পরিবেশন করেন আনিকা কবির শখ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।