সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে পোপের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, ক্যাথলিক কর্মকর্তাগণ এবং সারা বিশ্ব থেকে জমায়েত হওয়া শোকাহত হাজার হাজার মানুষ আজ যোগ দিবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শুক্রবার রাতে রোমের ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং তার স্ত্রী ওলেনা জেলেনস্কাও রোমে এসেছেন।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূস এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতোমধ্যেই ভ্যাটিকান পৌঁছেছেন। 

অনেক সরকার প্রধান ও রাজ পরিবারও তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়াও আজ সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি আশা করা হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, প্রধানমন্ত্রী কাইর স্টারমার, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন, ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার, প্রিন্স উইলিয়াম, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, স্পেনের রাজা ষষ্ঠ ফিলিপ এবং রানি লেটিজিয়া, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর এই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানটি বিশ্ব নেতাদের উল্লেখযোগ্য জমায়েত ঘটবে।

বৈশ্বিক অনেক ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে মতামত দেয়া নিয়ে বিশ্ব নেতাদের অনেকের সাথে পোপের মতবিরোধ হয়েছে। তাদের মধ্যেও কয়েকজন তার শেষকৃত্যে যোগ দিচ্ছেন।

ব্যাসিলিকার দিকে মুখ করে স্কোয়ারের ডান দিকে বসবেন অতিথিরা। সেখানে আর্জেন্টিনা ও ইটালির সরকার প্রধানরা সামনের সাড়িতে বসবেন।

ফরাসি ভাষার বর্ণমালার ক্রমানুসারে সরকার প্রধানরা এই অনুষ্ঠানে আসন গ্রহণ করবেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ