রাঙামাটিতে পিকআপ ভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজন নিহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে নিহত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়ে।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের মনারটেক আমবাগান এলাকায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন নুরুনাহার বেগম (৪০), মিনু মারমা (৩৫), মো.

আবু তোরাব (৫০), মো. মাহাবুবুর রহমান (৫৫), জয়নাল আবেদীন (৬০) ও মো. ইজাদুল (২৫)। তাঁদের মধ্যে দুই নারী রাঙামাটির এবং অন্যরা চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থলে চারজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া লাশ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

বেতবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. আজিজুল ইসলাম ও মো. খলিল প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেতবুনিয়ার চাহেরী বাজারে হাটের দিন ছিল। সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রীরাও হাটে কেনাকাটা করে বাড়িতে ফিরছিলেন। অটোরিকশাটি বেতবুনিয়ার মনারটেক আমবাগান এলাকায় পৌঁছানোর পর কাঠবোঝাই একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। দুজন চট্টগ্রামের হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গেছেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ