Samakal:
2025-11-03@19:31:15 GMT

নিরাপদ পিরিয়ডের লক্ষ্যে...

Published: 26th, April 2025 GMT

নিরাপদ পিরিয়ডের লক্ষ্যে...

নারীর শারীরিক সুরক্ষা ও মাসিক স্বাস্থ্যবিধান সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ওজিএসবি এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্র্যান্ড সেনোরা যৌথভাবে ‘এনশিওরিং সেইফ মেন্সট্রুয়াল হাইজিন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে ওজিএসবির সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফারহানা দেওয়ান, দেশের প্রখ্যাত কয়েকজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিশদভাবে উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যান্টারের ২০২৪ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে মাত্র ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ নারী স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। এর ফলে শুধু স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিই বাড়ছে না; অনেক কিশোরী শিক্ষা ও সামাজিক সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। 
এ ছাড়া অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে এবং সুগন্ধিযুক্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের কারণে নারীদের মধ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকি সংক্রমণের হারও আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। 
আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে পিরিয়ডের সময় পুরোনো কাপড়, তুলা কিংবা রাসায়নিক সুগন্ধিযুক্ত ভ্যাজাইনাল প্রোডাক্ট ব্যবহারের কারণে ৯৭ শতাংশ নারী তাদের জীবদ্দশায় কোনো না কোনো সময় সার্ভিকাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হন। এ ছাড়া দেশে ৬৮ শতাংশ কিশোরীর প্রথম পিরিয়ড শুরুর মাত্র চার বছরের মধ্যে বিয়ে হয়ে যায়, যা তাদের ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়। একইভাবে ৪০ শতাংশ স্কুলছাত্রী মাসিকের সময় গড়ে তিন দিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকে, যা তাদের শিক্ষাজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, পোশাকশিল্পে কর্মরত প্রায় ৬০ লাখ নারী কর্মী পিরিয়ডের সময় গড়ে ছয় দিন কাজে অনুপস্থিত থাকেন, যা শুধু তাদের আর্থিক অবস্থার ওপরই নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না; বরং শিল্প খাতের উৎপাদনশীলতাকেও ব্যাহত করে।
সেনোরা গত ৩০ বছর ধরে নারীর জন্য স্টেরিলাইজড, রাসায়নিক ও সুগন্ধিমুক্ত এবং বিভিন্ন মূল্যস্তরের স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করে আসছে, যা সব আর্থসামাজিক শ্রেণির নারীর জন্য নিরাপদ ও সহজলভ্য। কেবল পণ্য বিতরণই নয়, মাসিক স্বাস্থ্যবিধান সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে স্কুল, গার্মেন্টস কারখানা এবং শহরাঞ্চলে স্বয়ংক্রিয় বিক্রয় যন্ত্র (ভেন্ডিং মেশিন) স্থাপনসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। 
অনুষ্ঠানে স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মালিক মোহাম্মদ সাঈদ বলেন, ‘সেনোরা ও ওজিএসবির যৌথ লক্ষ্য হলো– ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ৬০ শতাংশ নারীকে নিরাপদ মাসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় আনা। এই মহৎ উদ্যোগে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা একটি সুস্থ ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন লক ষ য

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ