জিতলেই পয়েন্টে তালিকার সেরা চারে—এই হিসাব সামনে রেখেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আজ মুখোমুখি হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। এমন সমীকরণে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত জিতেছে মুম্বাই। ঘরের মাঠে পাওয়া ৫৪ রানের জয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য হলেও দুইয়ে উঠে এসেছে মুম্বাই।

টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া মুম্বাই করে ৭ উইকেটে ২১৫ রান। রান তাড়ায় ২০ ওভারে ১৬১ রানে অলআউট হয়েছে লক্ষ্ণৌ।

লক্ষ্ণৌর হয়ে আজ প্রথম ওভারটা করেন চোট কাটিয়ে ফেরা মায়াঙ্ক যাদব। ভারতীয় ফাস্ট বোলার এবারের আইপিএলের নিজের প্রথম ওভারে দেন ৬ রান । ১৩০ থেকে ১৪২-১৪৩ কিলোমিটার গতিতে বল করা মায়াঙ্ককে পরের ওভারে টানা দুই ছক্কা মেরে দেন রোহিত শর্মা। ওভারের পঞ্চম বলে অবশ্য প্রতিশোধ নিয়ে নেন মায়াঙ্ক। জায়গায় দাঁড়িয়ে নিরীহ এক ওয়াইড লেংথ বলে কাট করতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ তোলেন ৫ বলে ১২ রান করা রোহিত।

রোহিতের বিদায়ের পর উইল জ্যাকসকে নিয়ে ৫৫ রান যোগ করেন রায়ান রিকেলটন। ব্যক্তিগত ৫ রানে মাথায় রান আউট হতে হতে বেঁচে যাওয়া মুম্বাই ওপেনার ফেরেন ৩২ বলে ৫৮ রান করে। শেষ পর্যন্ত তাঁর ৬ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংসটিই হয়ে আছে দলীয় সর্বোচ্চ।

মুম্বাইয়ের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন রিকেলটনের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামা সূর্যকুমার যাদব। ৪টি করে চার-ছক্কায় সাজানো তাঁর ২৮ বলের ইনিংসে। সূর্য ফেরেন ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে দলকে ১৮০ রানে রেখে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে। এর আগেই আইপিএলে ৪ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন সূর্য। এই মাইলফলকে বলের হিসেবে তৃতীয় দ্রুততম ভারতীয় তারকা। তাঁর চেয়ে কম বলে ৪ হাজারে ছুঁয়েছেন ক্রিস গেইল (২৫৬৮) ও এবি ডি ভিলিয়ার্স (২৬৫৮)। সূর্যর লেগেছে ২৭১৪ বল।

এরপর শেষ ১৫ বলে আরও ৩৫ রান যোগ করে মুম্বাই। নমন ধীর ১১ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এ ছাড়া ২৮ রানের সপ্তম উইকেট জুটিতে ধীরের সঙ্গী করবিন বশ ১০ বলে করেন ২০ রান।

প্রত্যাবর্তনে ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন মায়াঙ্ক। ৪২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন আবেশ খান।

রান তাড়ায় ৬৪ রানের মধ্যে এইডেন মার্করাম (৯), নিকোলাস পুরান (২৭) ও ঋষভ পন্তকে (৪) হারিয়ে ফেলে লক্ষ্ণৌ। এরপর আয়ুশ বাদোনিকে (২২ বলে ৩৫) নিয়ে ৪৬ রানের জুটি গড়েন একটু আশা জাগিয়েছিলেন মিচেল মার্শ (২৪ বলে ৩৪)। ১২তম ওভারে মার্শকে ফেরানো ট্রেন্ট বোল্ট প্রান্ত বদলে ১৫তম ওভারে ফিরিয়ে দেন বাদোনিকেও।

পরের ওভারে রোহিতের ইমপ্যাক্ট বদলি যশপ্রীত বুমরা ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে দেন লক্ষ্ণৌকে। এর আগে মার্করামকেও ফেরানো বুমরা ৪ উইকেট নিতে খরচ করেন ২২ রান। এ ছাড়া ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন বোল্ট।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট ন য় লক ষ ণ র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের

প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও টানা ছয়টি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।

বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে তুলে নেন সেঞ্চুরি, এরপর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। মিরাজ ছাড়াও ৯ উইকেট শিকার করে ম্যাচে বড় অবদান রাখেন তাইজুল ইসলাম, আর ওপেনার সাদমান ইসলামও তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।

প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২২৭ রান। জবাবে টাইগাররা তোলে ৪৪৪ রান, পায় ২১৭ রানের লিড। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে মাত্র তিন দিনেই টেস্ট জয়ের উৎসবে মাতে স্বাগতিকরা।

বল হাতে টাইগারদের শুরুটা এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ব্রায়ান বেনেটকে ফেরান স্লিপে সাদমানের হাতে ক্যাচ করিয়ে। একই ওভারে এলবিডব্লিউ করেন নিক ওয়েলচকে, রিভিউ নিয়ে পান উইকেটটি। এরপর উইলিয়ামসকেও বিদায় করেন অফ স্পিনার নাঈম ইসলাম, দ্বিতীয় স্লিপে সাদমানের হাতেই ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।

চতুর্থ উইকেটে আরভিন-কারেন জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, মিরাজ এসে ভেঙে দেন সেই জুটি। এক ওভারেই ফেরান আরভিন ও মাদেভারেকে। এরপর তাফাদওয়া সিগা, মাসাকাদজা ও কারেনকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন মিরাজ। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি, সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পাশে নাম লেখান। 

শেষ দিকে আবার বল হাতে ফিরে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান তাইজুল। এরপর রানআউটের মাধ্যমে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এই জয়ে শুধু সিরিজে সমতায়ই ফিরেনি বাংলাদেশ, বরং দেশের মাটিতে দীর্ঘ দিনের টেস্ট জয়ের অপেক্ষাও ঘুচিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে যশোর মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
  • শ্রীলঙ্কার মাটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
  • মিরাজ বীরত্বে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো বাংলাদেশ
  • সেঞ্চুরির পর ৫ উইকেট, মিরাজ ধন্যবাদ দিলেন ৬ জনকে
  • পেশায় বাসচালক, আড়ালে করেন ইয়াবার কারবার
  • ঢাকায় চালান পৌঁছে প্রতি মাসে পান ৬ লাখ টাকা
  • ১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
  • দুই হাজারি ক্লাবে গিয়ে মিরাজের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি
  • এবার হাজার কোটি টাকার মুনাফার ক্লাবে সিটি ব্যাংক
  • হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক