‘অনলাইন জুয়া’ বন্ধে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ
Published: 27th, April 2025 GMT
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘অনলাইন জুয়া’ ও বিভিন্ন তারকার মাধ্যমে এর প্রচার-প্রচারণা বন্ধে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নির্ধারণসহ এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সাত সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ডাক, টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধানকে নিয়ে এই কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এই কমিটিকে আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার রুল জারিসহ এই আদেশ দেন। রুলে অনলাইন জুয়া/বেটিং গেমের বিস্তার রোধে পদক্ষেপ গ্রহণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে হবে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান। আদেশের পর তিনি বলেন, রিটে যে সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছিল, তাদের প্রত্যেকের দপ্তরের একজন করে মোট সাতজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। কমিটি গঠনের পর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে এ কমিটিকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে।
১৬ এপ্রিল মূলধারার কিছু গণমাধ্যমের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন তারকার দ্বারা অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম রাফিদ। রিটে আবেদনে অনলাইন জুয়া, বেটিং সাইট ও অ্যাপ্লিকেশনগুলোর বিজ্ঞাপন ও প্রচার বন্ধে সরকারের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত