কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে আটক ২, ছাত্রদলের বিক্ষোভ
Published: 28th, April 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। শনিবার গভীর রাতে খানজাহান আলী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা না দায়ের হওয়ায় আটক দুজনের পরিচয় প্রকাশ করতে চায়নি পুলিশ। এদিকে নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে খানজাহান আলী থানা ছাত্রদল।
কুয়েট শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে তারা চারজন ক্যাম্পাসের বাইরে ফুলবাড়ি গেট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় খাবার খেতে গিয়েছিলেন। এ সময় ১০-১২ জনের একটি দল তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা ‘তোরা কেন ভিসি নামাইলি’ বলে অভিযোগ তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং হামলার পর তারা দ্রুত সরে যায়। এ সময় ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো.
খানজাহান আলী থানার ওসি কবীর হোসেন বলেন, অভিযোগ জানার পরই মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাথে যৌথভাবে আমরা অভিযান শুরু করি। রাতেই দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি, বাকিদের আটকের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কুয়েট ছাত্রদল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কুয়েটের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। হামলাকারীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ৬৫ দিনের আন্দোলনে কুয়েটের ভিসি মুহাম্মদ মাসুদকে অপসারণ করে সরকার। সেই থেকে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয় বিএনপি ও বিএনপি'র অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরোধ চলে আসছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আটক ন ত কর ম ছ ত রদল
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।