খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। শনিবার গভীর রাতে খানজাহান আলী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা না দায়ের হওয়ায় আটক দুজনের পরিচয় প্রকাশ করতে চায়নি পুলিশ। এদিকে নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশি অভিযানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে খানজাহান আলী থানা ছাত্রদল।

কুয়েট শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে তারা চারজন ক্যাম্পাসের বাইরে ফুলবাড়ি গেট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় খাবার খেতে গিয়েছিলেন। এ সময় ১০-১২ জনের একটি দল তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা ‘তোরা কেন ভিসি নামাইলি’ বলে অভিযোগ তুলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং হামলার পর তারা দ্রুত সরে যায়। এ সময় ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো.

ওবায়দুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম, গালিব রাহাত ও মোহন গুরুতর আহত হন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, হামলার সঙ্গে স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীরা জড়িত।

খানজাহান আলী থানার ওসি কবীর হোসেন বলেন, অভিযোগ জানার পরই মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাথে যৌথভাবে আমরা অভিযান শুরু করি। রাতেই দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি, বাকিদের আটকের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে। 

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কুয়েট ছাত্রদল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কুয়েটের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। হামলাকারীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ৬৫ দিনের আন্দোলনে কুয়েটের ভিসি মুহাম্মদ মাসুদকে অপসারণ করে সরকার। সেই থেকে কুয়েট শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয় বিএনপি ও বিএনপি'র অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরোধ চলে আসছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আটক ন ত কর ম ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া’

ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীনন্দা শঙ্কর। সৃজিত মুখার্জির ‘এক যে ছিল রাজা’, সুমন ঘোষের ‘বসুপরিবার’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই তারকা। বলা যায়, টলিউডের প্রথম সারির সব নির্মাতার সঙ্গেই কাজ করেছেন এই নৃত্যশিল্পী। 

গত কয়েক বছর ধরে কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন শ্রীনন্দা। সেখানে সংসার, কাজ নিয়ে সময় কাটছে তার। তবে অভিনয়ে নেই। অভিনয় থেকে দূরে থাকার কারণ কী? ফের কী অভিনয়ে ফিরবেন না শ্রীনন্দা?  

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে আলাপকালে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন শ্রীনন্দা। এ অভিনেত্রী বলেন, “টলিউডে যাদের সঙ্গেই কাজ করেছি, তাদের সঙ্গে এখনো আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ভীষণ ভালো অভিজ্ঞতাও বলা চলে। মুশকিল হলো, বাংলা সিনেমায় তেমন বাজেট থাকে না। সত্যিই যদি খুব ভালো সিনেমা হয় বা এমন কোনো পরিচালক আমাকে অফার দেন যেখানে কোনো ভাবেই ‘না’ করব না। আমি নিশ্চয়ই আবার অভিনয়ে ফিরব।”

আরো পড়ুন:

কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অভিনেত্রী

পরিচালকের আপত্তিকর মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন শোলাঙ্কি

কিছু কিছু লোকের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েও মাঝপথে থেমে গিয়েছেন শ্রীনন্দা। কারণ, তাদের সঙ্গে মানসিকভাবে মেলেনি। তার ভাষায়—“মুম্বাই, কলকাতা বা সাউথ ইন্ডাস্ট্রি যেখানেই হোক না কেন, আমি ভালো মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কেউ এমন চরিত্রে সুযোগ দেন, যেখানে প্রয়োজনে টাকাটা ভুলে গিয়ে শুধু পরিচালকের নাম দেখেই কাজটা করব।”

কিছুটা ইঙ্গিপূর্ণভাবে শ্রীনন্দা বলেন, “কাজের পাশাপাশি আমার সংসারও রয়েছে। কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই পেতে হবে, যার জন্য সংসারটা ইগনোর করার কথা ভাবব। অর্থাৎ মনে হবে সংসার ফেলে এই সিনেমাটা আমাকে করতেই হবে। এই বয়েসে একটু কফি খেতে যাবেন? কাজ দেবেন? এগুলো করতে পারব না। সবাই তো চেনেই আমাকে। কাজ দিতে হলে দেবেন।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব শ্রীনন্দা। অনেকে ভেবেছিলেন, এ মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করে থাকেন। তাদের উদ্দেশে শ্রীনন্দা বলেন, “অনেকেরই ভ্রান্ত ধারণা এটাও আমার পেশা। এখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়। আমি নিজেও আগে বিষয়টা জানতাম না। পোস্ট করতে করতে বুঝেছি। আমি এখন মুম্বাইয়ে মায়ের সঙ্গে পুরোদমে নাচের স্কুল চালাচ্ছি। এখন মোট ছয়টা ব্রাঞ্চ এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। সব মিলিয়ে ভালো আছি।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হন শ্রীনন্দা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার তো একেবারেই গন্ডারের চামড়া হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে আমাকে একজন বলেছিলেন, ‘রিল মামনি’। আমি আর মা এটা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েছি। মাঝেমধ্যে এসব বেশ মজাও লাগে। তবে যে পরিমাণ ভালোবাসা পাচ্ছি, সেটা খুব মন থেকেই ভক্তরা দিচ্ছেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনে আশীর্বাদ।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ