বিসিএসে নতুন সিলেবাস, ভারত–শ্রীলঙ্কা–সিঙ্গাপুরের চাকরির পরীক্ষার সিলেবাস নিয়ে কাজ করছে পিএসসি
Published: 28th, April 2025 GMT
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) নতুন সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছে। আসলে কেন দীর্ঘদিনের প্রচলিত সিলেবাসে পরিবর্তন আনতে চায় পিএসসি, আর কী থাকবে এই নতুন সিলেবাসে—এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চেষ্টা করেছে প্রথম আলো।
পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম বলেন, ৪৯তম বিসিএস থেকে যুগোপযোগী সিলেবাস হবে। নতুন সিলেবাস এমন হবে, যেন প্রার্থীরা বিশ্বের যেকোনো দেশে নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পারেন। পিএসসি আরও শিক্ষার্থীবান্ধব প্রতিষ্ঠান হবে।
আরও পড়ুনসরকারি ব্যাংকে ষষ্ঠ-নবম-দশম গ্রেডে বড় নিয়োগ, পদ ৬০৮টি২৪ এপ্রিল ২০২৫পিএসসির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চাকরিপ্রার্থীদের কথা মাথায় রেখে নতুন সিলেবাস তৈরি হবে। তাঁরা একসঙ্গে নানা ধরনের নিয়োগ পরীক্ষা দেন। প্রস্তুতিও নেন। কিন্তু দেখা যায়, একেক পরীক্ষার প্রস্তুতি বা সিলেবাস একেক ধরনের। সরকারি চাকরির প্রস্তুতির সিলেবাস একধরনের আবার বেসরকারিতে ধরন আরেক ধরনের। এসব বিচার–বিশ্লেষণ করা শুরু করেছে পিএসসি। এ সবকিছু বিশ্লেষণ করে একটি নতুন সিলেবাস তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে, যা সব চাকরিতে চাকরিপ্রার্থীকে যোগ্য করে তুলতে সহায়তা করবে। আবার দেশেই নয়, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিদেশে চাকরি নেওয়ার ক্ষেত্রেও যাতে এই সিলেবাস কাজে লাগে, সে চেষ্টাও পিএসসি করছে।
আরও পড়ুনমে মাসে ছুটির পর ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা২৬ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনসরকারি ব্যাংকে ষষ্ঠ-নবম-দশম গ্রেডে বড় নিয়োগ, পদ ৬০৮টি২৪ এপ্রিল ২০২৫পিএসসির সদস্য মো.
পিএসসির আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ৪৯তম বিসিএসে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা থাকবে। তবে সিলেবাসের বিষয়গুলোতে পরিবর্তন আসবে।
আরও পড়ুন৪৮তম বিসিএসে দুই হাজার চিকিৎসকের বিজ্ঞপ্তি শিগগিরই, দ্রুত নিয়োগ ২৭ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনবেসরকারি ব্যাংকে নিয়োগ, স্নাতক ও অভিজ্ঞতায় চাকরি২৬ এপ্রিল ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নত ন স ল ব স প রস ত ত প এসস র পর ক ষ ব স এস সরক র ধরন র
এছাড়াও পড়ুন:
জাবিতে মৃত্যুর পরও সাময়িক বহিষ্কার, কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘অসাবধানবশত ভুল’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় ২৫৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ইতিহাস বিভাগের রয়েছে ১২ জন শিক্ষার্থী। বহিষ্কার তালিকায় প্রথম নাম হিসেবে গত সাত মাস আগে গণপিটুনিতে মারা যাওয়া ওই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লার নাম পাওয়া গেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি প্রিন্টিং মিসটেক ও অসাবধানবশত ভুল।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৪ জুলাই, ১৫ জুলাই ও ১৭ জুলাই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসী এবং পুলিশ হামলা চালায়। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন প্রশাসন দায়িত্বে এসে সংঘটিত এসব হামলার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভায় ২৫৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে প্রশাসন। বহিষ্কৃতদের বিভাগভিত্তিক তালিকা তৈরি করে স্ব স্ব বিভাগে চিঠি পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবিএম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত একটি বহিস্কারাদেশের চিঠি ইতিহাস বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ওই তালিকায় বিভাগটির মোট ১২ জন শিক্ষার্থীর নাম পরিচয় উল্লেখ রয়েছে।
এর মধ্যে প্রথম নামটি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা মৃত শামীম মোল্লার নাম। যদিও ওই চিঠিতে শামীম মোল্লার নামের পাশে ব্রাকেটে মৃত লেখা রয়েছে।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবিএম আজিজুর রহমান বলেন, ‘সিন্ডিকেট থেকে প্রাপ্ত তালিকা শিক্ষা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রস্তুত করে তার কাছে দিয়েছিলেন। ৩৭টি বিভাগে আলাদা আলাদা চিঠি স্বাক্ষর করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল হয়েছে। চিঠিতে প্রিন্টিং মিসটেক হয়েছে। শামীম মোল্লার নামটি ভুলে এসেছে। তারা দ্রুত বিষয়টি ঠিক করে পুনরায় বিভাগে পাঠাবেন।’
প্রসঙ্গত, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর একদল শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে গণপিটুনি দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আশুলিয়া থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। হস্তান্তরের প্রায় দুই ঘণ্টা পর শামীম মোল্লা মৃত্যুবরণ করেন বলে জানা যায়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছয় শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের বহিষ্কার, ছয় মাসের জন্য দুইজনের সনদ স্থগিত এবং মামলা করে প্রশাসন। একই সঙ্গে অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। হত্যা মামলায় নাম উল্লেখ করা আটজন হলেন—মো. আহসান লাবিব (৪৯তম ব্যাচ, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং); রাজু আহমেদ (৪৫তম ব্যাচ, সরকার ও রাজনীতি); মো. মাহমুদুল হাসান রায়হান (৫০তম ব্যাচ, ইংরেজি); সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া (৫২তম ব্যাচ, ফার্মেসি); হামিদুল্লাহ সালমান (৪৯তম ব্যাচ, ইংরেজি); মো. আতিকুজ্জামান (৪৯তম ব্যাচ, ব্যবস্থাপনা); সোহাগ মিয়া (৪৭তম ব্যাচ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং); মোহাম্মদ রাজন মিয়া (৪৬তম ব্যাচ, সরকার ও রাজনীতি)।
তাদের মধ্যে হামিদুল্লাহ সালমান ও মোহাম্মদ রাজন মিয়া ছাত্রদলের কর্মী, আর আহসান লাবিব ছিলেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়ক, তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠার পর তাকে ওই পদ থেকে অপসারণ করা হয়। বাকি অভিযুক্তদের কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।