পাঁচ বছর আগের সেই দিনটা মনে আছে মোহাম্মদ সালাহর। লিভারপুল যখন ইতিহাসের ১৯তম লিগ শিরোপা জেতে। তখন চারপাশ ছিল শুনশান। স্টেডিয়ামে দর্শকেরা ছিলেন না, উচ্ছ্বাস ছিল না। কিন্তু এবারের অভিজ্ঞতা একেবারেই ভিন্ন।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ৫-১ গোলের বড় জয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অ্যানফিল্ড যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়। কোচ আর্নে স্লট আর দলের তারকারা প্রায় এক ঘণ্টা মাঠেই কাটান সমর্থকদের ভালোবাসায় ভেসে।

ম্যাচ শেষে সালাহ বলেন, ‘‘ভক্তদের সামনে শিরোপা জেতার এই আনন্দই আলাদা। এটা ২০২০ সালের তুলনায় ১০০ গুণ ভালো। আমরা এখন একটা নতুন দল, তবুও আবার দেখিয়ে দিলাম—আমরা পারি। এটা সত্যিই অসাধারণ অনুভূতি।’’

আরো পড়ুন:

‘ভ্যান ডাইক ও সালহার চুক্তি নবায়ন উচ্চাকাঙ্ক্ষার ফসল’

লিভারপুল ও সালাহার গল্প আরো দুই বছর চলবে

এদিন নিজের ২৮তম লিগ গোলটি করে আরেক ইতিহাস গড়েছেন সালাহ। ম্যানচেস্টার সিটির কিংবদন্তি সার্জিও আগুয়েরোকে পেছনে ফেলে তিনি এখন প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ বিদেশি গোলদাতা।

কোচ স্লটের প্রশংসাও ঝরেছে তার কণ্ঠে। সালাহ বলেন, ‘‘তিনি খুবই সৎ। যদিও ডাচরা সাধারণত একটু কঠিন প্রকৃতির হয়। তিনি আমাদের জীবনটা অনেক সহজ করে দিয়েছেন। আমি খুশি যে অ্যানফিল্ডেই এই শিরোপা জিতেছি।’’

নিজের ভূমিকার পরিবর্তন নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন সালাহ, ‘‘এখন আর আমাকে খুব বেশি ডিফেন্স করতে হয় না। আমি বলেছিলাম, 'ডিফেন্সে আমাকে একটু বিশ্রাম দিন, আক্রমণে আমি সব উজাড় করে দেব।' তিনি তা শুনেছেন, আর ফলাফল এখন সবাই দেখতে পাচ্ছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রিমিয়ার লিগে খেলতে গেলে কিছুটা রক্ষণে সাহায্য করতেই হয়। তবে আমি বলেছিলাম, আক্রমণে যদি একটু ঝুঁকি নিই, তাহলে পার্থক্য গড়ে দিতে পারব। আমার অ্যাসিস্টের সংখ্যাই তার প্রমাণ।’’

শেষদিকে সালাহ জানালেন, শিরোপা নিশ্চিত করার জন্য তিনি অপেক্ষা করছিলেন এক বিশেষ মুহূর্তের জন্য, ‘‘আমি চাইনি আর্সেনাল বনাম ক্রিস্টাল প্যালেস ম্যাচের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে চ্যাম্পিয়ন হই। আমি চাইছিলাম, মাঠে থেকেই, সমর্থকদের সামনে শিরোপা নিশ্চিত করতে। আজ সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছে।’’

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’

আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।

পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’

শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ