স্পার্কি ও ই-থান্ডার মডেলের স্কুটার আনল হুয়াইহাই গ্লোবাল
Published: 28th, April 2025 GMT
চীনের বিশ্বখ্যাত বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হুয়াইহাই গ্লোবাল হোল্ডিং গ্রুপ তাদের ইলেকট্রিক স্কুটার ন্যামস মোটরস লিমিটেডের সহযোগীতায় বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে।
আধুনিক এবং পরিবেশবান্ধব ব্যক্তিগত পরিবহন ব্যবস্থার অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হুয়াইহাই গ্লোবাল বাংলাদেশের বাজারে তাদের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির স্পার্কি ও ই-থান্ডার মডেলের দুইটি ইলেকট্রিক স্কুটার আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত শুরু হয়েছে। এই ইলেকট্রিক স্কুটারগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার হ্রাস পাবে যা সবুজ বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) উত্তরায় ন্যামস মোটরস লিমিটেডের ফ্ল্যাগশিপ শোরুম স্পার্কি এবং ই-থান্ডার বিপণন ও বিক্রি শুরু হয়েছে। ন্যামস মোটরস লিমিটেড থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উত্তরায় ন্যামস মোটরসের ফ্ল্যাগশিপ শোরুম উদ্ভোধন এবং দুটি ইলেকট্রিক স্কুটারের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে হুয়াইহাই গ্লোবাল হোল্ডিং গ্রুপ এশিয়া বিজনেস ডিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডি মেং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্বসহ ন্যামস মোটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের গ্রাহকদের পরিবেশবান্ধব, কার্যকর, আধুনিক ডিজাইন এবং সাশ্রয়ী ব্যক্তিগত পরিবহনের ক্রমবর্ধবান চাহিদা পূরণে এই ইলেকট্রিক স্কুটারগুলো বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, যানজটের ক্রমাগত অবনতি এবং পরিবেশগত উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে, স্পার্কি এবং ই-থান্ডার প্রতিদিনের যাতায়াতের জন্য একটি আধুনিক উন্নত প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব বিকল্প পরিবহন হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন লিথিয়াম-আয়ন ও গ্রাফাইন ব্যাটারি সংযুক্ত এই স্কুটারগুলো একবার ফুল চার্জ দিলে ১২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে এবং ৪ থেকে ৫ ঘন্টার মধ্যেই সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যায়।
ন্যামস মোটরস লিমিটেডের পরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আবদুর রহমান বলেন, “আমরা অত্যন্ত আনন্দিত, এমন একটি ব্যক্তিগত বাহন বাংলাদেশের গ্রাহকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পেরেছি যা কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের পাশাপাশি গ্রাহকদের আধুনিক ও সাশ্রয়ী বাহন ব্যবহারের সুযোগ করে দেবে।”
ঢাকা/এনটি/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘জনপদের বর্ষবরণ ১৪৩২’
কক্সবাজার জেলার লোকসংগীত শিল্পী বুলবুল আক্তার। এই শিল্পী নিজের মধ্যে ধারণ করেছেন চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারের নিজস্ব ভাষা, সুর ও সংস্কৃতি। কালো বোরকার ফ্যাশনে সাধারণ ও সরল চেহারার এই শিল্পীর দরদি কণ্ঠে ফুটে ওঠে প্রেম, বিরহ, সমাজ ও প্রান্তিক জীবনের গল্প। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি গেয়েছেন ‘মধু হইহই বিষ খাওয়াইলা’ ও ‘হালাসান গলার মালা’।
রসিক আড্ডার আয়োজনে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফোকলোর অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় আয়োজিত হয় জনপদের বর্ষবরণ ১৪৩২। দুপুর ১২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মাঠে এই আয়োজন চলে। দুপুরে বৃষ্টি এলে ভিজে বৃষ্টিবিলাসে মেতে ওঠেন আয়োজক এবং অনুষ্ঠান দেখতে আসা অনেকে।
অনুষ্ঠানে মঞ্চে ছিল বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া। দূর থেকে মঞ্চে তাকালে বাঙালির ঐতিহ্যই চোখে ভেসে ওঠে। মঞ্চ তৈরি করা হয় প্রতীকী গ্রামবাংলার দৃশ্য কলাগাছ ও খড়ের ঘর দিয়ে। তা ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপদের বর্ষবরণকে ফুটিয়ে তুলতে এই আয়োজনে ছিল ধামাইল নাচ, চাকমা, মারমা ও খুমি জনগোষ্ঠীর নৃত্য ও আধুনিক নৃত্য। ব্যান্ডের মধ্যে ছিল ফিরোজ জঙ, আপনঘর, Sacrament-গারো ব্যান্ড, ব্যান্ড লাউ।
এই আয়োজনে গ্রামীণমেলায় ছিল নাগরদোলা, বানরখেলা, রণপা, বায়োস্কোপ ও পুতুলনাচ। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জনপদের খাবার ও পোশাকের স্টল ছিল।
আয়োজকদের একজন নাহিয়ান ফারুক বলেন, রসিক আড্ডা বাংলাদেশের সংস্কৃতি পাঠ ও তা চর্চা করে। রসিক আড্ডার তিনটি ম্যাগাজিন রণপা, কলন্দর ও সিনেযোগ বাংলাদেশের সমাজ ও সংস্কৃতি–নির্ভর আলোচনা করে এবং তা জনপরিসরে ফুটিয়ে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় এই আয়োজন করা হয়েছে।