ইউক্রেনে তিন দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের
Published: 28th, April 2025 GMT
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে তিন দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন।
তিন বছর দুই মাস আগে বেসামরিকীকরণ ও নাৎসিমুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে ইউক্রেনে যে সামরিক অভিযান শুরু করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন, তারপর এই দ্বিতীয়বার তার পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা এলো।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। সার্বভৌমত্ব রক্ষার যুদ্ধে নামে ইউক্রেন। দুই দেশের রক্তক্ষয়ী ও বিভৎস এই যুদ্ধে হাজার হাজার সেনা ও বেসামরিক মানুষের প্রাণ গেছে; ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের বাইরে।
এত দিনের যুদ্ধে ইউক্রেনের সঙ্গে একাট্টা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়ে ফের ক্ষমতায় বসার পর যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ধারায় রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘোষণা এলো।
বিবিসি লিখেছে, পুতিনের ঘোষণা অনুযায়ী ৮ মে থেকে শুরু হয়ে ১১ মে পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি চলবে। এক টেলিগ্রাম বার্তায় পুতিনের পক্ষে এই ঘোষণা দিয়েছে ক্রেমলিন।
অবশ্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইউক্রেনের প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি। কী শর্তে ইউক্রেন এই যুদ্ধবিরতি মানবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
এর আগে ইস্টার সানডে উপলক্ষে মাত্র ৩০ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতির কথা বলেছিল রাশিয়া; যদিও তা উভয় দেশ লঙ্ঘন করে হামলায় লিপ্ত হয়।
যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টার সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি করার জন্য ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উভয় দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে শান্তি চুক্তির শর্তগুলো নিয়ে কথা বলছেন। পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে অংশ নিতে রোমে গিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। ওই দিন ট্রাম্প বলেছিলেন, চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার দিনই সোমবার রাশিয়া ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। হতাহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’