বন্দরে গভীর রাতে বুড়া-বুড়ির বাড়িতে হামলা
Published: 28th, April 2025 GMT
বন্দরের জাঙ্গাল এলাকায় ইট ভাটার মাটি কাটতে না দেয়ায় নিরিহ নিরপরাধ বৃদ্ধ দম্পত্তির (বুড়া-বুড়ি) নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও বাড়ি ঘরে ব্যাপক হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশের উপস্থিতিতে একটি ইট ভাটা মালিকের সন্ত্রাসী বাহিনী এই হামলা ও ভাংচুরের নেতৃত্ব দিয়েছে বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন। এরপর উল্টো তাদের ধরে নিয়ে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন। পরে জামিনে বের হয়ে ভুক্তভোগী এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে পুলিশ মামলা না নেয়ায় আতংকে রয়েছেন তারা।
জানা গেছে, বন্দরের জাঙ্গালের বাকদোবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত ৩টি ব্রিক ফিল্ডের মালিক মোঃ আলমগীর হোসেন। সে সাধারন মানুষের জমি জোর পূর্বক দখল করে মাটি কেটে ইট ভাটা পরিচালনা করে আসছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের আদালতে বেশ কয়েকটি দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে।
ভূক্ত ভোগী বন্দরের জাঙ্গাল এলাকায় বৃদ্ধা মহিলা মিনারা বেগম মিনু জানান, আমার জমি জমার বিভিন্ন ভূয়া কাগজপত্র সৃজন করে ইট ভাটার মালিক আলমগীর জোর পূর্বক দখল করে মাটি কাটার চেষ্টা চালায়।
আমি ও আমার পরিবার এতে জোরালো আপত্তি করি এবং আমার স্বামী তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একাধিক দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। এতে ইট ভাটার মালিক আমাদের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে আমাদের প্রানে মেরে ফেলার জন্য আলমগীর নানা ষড়যন্ত্রের ফাদ পাততে থাকে।
আর এ কাজে থানা পুলিশকে সে ম্যানেজ করে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের জীবন শেষ করে দেয়ার অপচেষ্টা চালায়। গত ২০ এপ্রিল রবিবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে গভীর রাত ৩টা পর্যন্ত বন্দর থানার দারোগা জলিল, শরীফ ও বন্দর কামতাল ফাড়ির দারোগা মনির সহ প্রায় ২৫ জন পুলিশ আমার বাড়ীর চারদিকে ঘেরাও করে রাখে।
এসময় ব্রিক ফিল্ডের মালিক আলমগীরের প্রায় ২০/২৫ জনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী দা, সাবল, বটি, খুন্তি, কুড়াল সহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে বাড়ীর গেট ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ব্যাপক হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। পরবর্তীতে বন্দর থানা পুলিশ বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করে আমাকে ও আমার বৃদ্ধ স্বামীকে জোর পূর্বক থানার পুলিশ ভ্যানে তুলতে চায়।
বন্দর থানা পুলিশ কোন মামলা ছাড়াই বিনা ওয়ারেন্টে টানা হেচড়া করে আমাদেরকে থানায় নিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমি মামলা ছাড়া বিনা ওয়ারেন্ট আমাদের কেন থানায় নিয়া যাবেন জানেত চাইলে আমাকে ও আমার স্বামী আঃ বাতেন (৬০) কে বেধম প্রহার করেন। আমি একজন বৃদ্ধা মহিলা হওয়া স্বত্তেও পুলিশ আমাকে উপর্যপুরি ৪টি বেত্রাঘাত করে।
তখন আমি পুলিশের হাতে পায়ে ধরে কোন মতে পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেলেও গভীর রাত ৩টায় আমার স্বামী আঃ বাতেন (৬০)কে জোরপূর্বক বন্দর থানায় নিয়া যায়।
থানায় নিয়ে ব্রিক ফিল্ডের মালিক আলমগীরের ম্যানেজার মজিবরকে বাদী বানাইয়া আমাদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এর ১০/১৩/১৬ ধারায় একটি মিথ্যা মামলা নং-২৪৪২৫ দায়ের করেন।
বন্দর থানার পুলিশ আমার স্বামীকে ২০ এপ্রিল ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন সহ নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরন করলে বিজ্ঞ আদালত শুনানী অন্তে রিমান্ডের আবেদন না-মঞ্জুর পূর্বক জামিন প্রদান করেন এবং পরবর্তীতে গত ২২ এপ্রিল আমি বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করলে মহামান্য আদালত আমাকেও জামিন প্রদান করেন।
বর্তমানে আমরা আদালত থেকে জামিন নেয়র পর এ ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা করতে গেলে ব্রিক ফিল্ডের মালিক আলমগীরের দাপটের কারনে পুলিশ কোন মামলা নিচ্ছে না।
এখন আমি আদালতে প্রতিকার চেয়ে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। আমি এই ঘটনার সুুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে কথা বলতে বন্দর থানার ওসির মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ র ম ল ক আলমগ র জ র প র বক আম র স ব ম ইট ভ ট আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবার নিয়ে চীন ভ্রমণে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা
নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব এম. সোলায়মানের নেতৃত্বে ৯২ জন ক্লাব সদস্য এবং পরিবারের সদস্যরা চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের মাধ্যমে চীনের কুমিং ও লিজিয়াং এ আনন্দ ভ্রমণে রওনা হয়েছেন। এই আনন্দ ভ্রমণে তাঁরা ৪ রাত কুমিং ও ৩ রাত লিজিয়াং এ অবস্থান করবে এবং আগামী ১৮ জুন দেশে ফিরবেন।
এই আনন্দ ভ্রমণে সফর সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন ক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ সাইদুল্লাহ হৃদয়, পরিচালনা পর্ষদ সদস্য মোঃ জাহিদ হোসেন, হারুন-অর-রশীদ, খান আব্দুল কাদির মাহবুব (বাবু) ও দিলারা মাসুদ ময়না।
উল্লেখ্য, আলহাজ্ব এম. সোলায়মান এর আগেও ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে বহুবার এমন আন্তর্জাতিক আনন্দ ভ্রমণের সফল আয়োজন করেছেন। ২০১৩ সালে তিনি ১৪৫ জন সদস্য ও তাঁদের পরিবারকে নিয়ে চীনের কুনমিং ও বেইজিং সফরে যান।
২০১৪ সালে ১৪৩ জন সদস্য নিয়ে ইংল্যান্ড, ২০১৫ সালে ৭৫ জন সদস্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস ও লস অ্যাঞ্জেলেস, এবং ২০১৯ সালে ৯০ জন সদস্য ও তাঁদের পরিবার নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে (Genting Dream Cruise (5 Star Ship) এর মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম ভ্রমণের আয়োজন করেন, যা ক্লাব সদস্যদের জন্য ছিল স্মরণীয় ও আনন্দঘন অভিজ্ঞতা।
আলহাজ্ব এম. সোলায়মানের নেতৃত্বে তাঁর বিভিন্ন মেয়াদের কার্যকালীন সময়ে ক্লাবের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ক্লাব সদস্য ও তাঁদের পরিবারের জন্য দেশ সহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আনন্দ ভ্রমণের আয়োজনের এমন উদ্যোগ সদস্যদের মাঝে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্লাবের ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করেছে।