১৪ বছর বয়সী বৈভবের বিশ্ব রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে উড়ে গেল গুজরাট
Published: 28th, April 2025 GMT
হারলে রাজস্থান রয়্যালসকে ছিটকে পড়তে হবে প্লে অফে ওঠার দৌড় থেকে। এমন ম্যাচে প্রতিপক্ষ আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তুলেছে ৪ উইকেটে ২০৯ রান। রাজস্থানের ওপর চাপটা তাই অনেক বেশি ছিল। কিন্তু সেটা নাটকের প্রথম পর্ব। দ্বিতীয় অর্থাৎ শেষ পর্ব যে এতটা জমজমাট হবে, তা কে জানত! ১৪ বছর বয়সী এক ছেলের ব্যাটের স্রেফ আগুন ঝরল, সেই আগুনের উত্তাপে রাজস্থানের ওপর জেঁকে বসা সব চাপ–টাপও যেন উবে গেল! কেউ কেউ বলছেন, বৈভব সূর্যবংশীর ব্যাটে আইপিএলের ইতিহাসেই অন্যতম অবিশ্বাস্য এক ইনিংসের জন্ম হলো!
১১ ছক্কা ও ৭ চারে ৩৮ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলা বৈভব ১১.
দুই শর বেশি রান তাড়া করতে নেমে ৪ ওভারের বেশি বল হাতে রেখে রাজস্থানের এই দুর্দান্ত জয়ের শিরোনাম হতে পারে একটাই—বৈভবের আগুনে পুড়ল গুজরাট। তা নয় তো কী! ইনিংসের তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে খুলেছেন নিজের রানের খাতা। ইশান্ত শর্মার করা চতুর্থ ওভারে ওঠা ২৮ রানের ২৬ এসেছে বৈভবের ব্যাট থেকে। ফিফটি তুলেছেন ১৭ বলে, যেটা আইপিএলের এ মৌসুমে দ্রুততমও।
১০ম ওভারে গুজরাট পেসার করিম জানাতের কাছ থেকে একাই তুলেছেন ৩০ রান। পরের ওভারেই দ্বিতীয় বলে রশিদ খানকে ছক্কা মেরে আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি তুলে নেন বৈভব। ৩৫ বলে ১০০! আইপিএলে বৈভবের চেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি আছে শুধু ক্রিস গেইলের। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৩০ বলে। তারপর এই এক যুগে গেইলের মতো বিস্ফোরক ইনিংসের কাছাকাছি কেউ যেতে পারেননি, যেটা আজ পারলেন কি না এক ১৪ বছর বয়সী!
শুধু কী তাই, এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় খেলতে নামা বৈভব এখন আইপিএলের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান। ২০০৯ সালে ১৯ বছর ২৫৩ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করা মনীশ পাণ্ডের রেকর্ডটি এখন বৈভবের। ছেলেদের টি–টোয়েন্টিতে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে সেঞ্চুরির রেকর্ডও এখন তার। ২০১৩ সালে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে ১৮ বছর ১১৮ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করা ভিজয় জোলের রেকর্ডটি এখন বৈভবের।
গুজরাটের বোলারদের জন্য আজকের ম্যাচটি স্রেফ ভুলে যাওয়ার। ওপেনিং জুটিতেই ১৬৬ রান তুলেছেন বৈভব ও জয়সোয়াল। ৪০ বলে ৭০ রানে অপরাজিত জয়সোয়াল শেষ পর্যন্ত ছিলেন। ২ ছক্কা ও ৯ চারে ১৭৫ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করা জয়সোয়ালকেও বৈভবের সামনে কেমন ম্লান লেগেছে। কারণ বৈভবের ইনিংসের স্ট্রাইকরেট যে ২৬৫.৭৮! ভারতের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ক্রিকেটার যুবরাজ সিং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইয়ান বিশপের সেই কথাটা স্মরণ করে তাই লিখেছেন, ‘বৈভব সূর্যবংশী—রিমেম্বার দ্য নেম!’পরাগ অপরাজিত ছিলেন ১৫ বলে ৩২ রানে।
জয়পুরের মানসিংহ স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা গুজরাটের হয়ে ৫০ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক শুবমান গিল। ২৬ বলে ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন জস বাটলার। তবে বৈভব যে ইনিংস খেলেছে তাতে আজ বাকি সবাই যেন ম্লান। প্রশংসা এসেছে তার প্রতিপক্ষ শিবির থেকেও। গুজরাট অধিনায়ক শুবমান যেমন বলেছেন, ‘দিনটা সূর্যবংশীর ছিল। আইপিএলে আমার দেখা অন্যতম সেরা ইনিংস।’
বিস্তারিত আসছে...।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জয়স য় ল ১৪ বছর র কর ড উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।
এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন
জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।
তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।
কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”
গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”
ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী