রাজধানীতে দুটি ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার
Published: 30th, April 2025 GMT
রাজধানীতে দুটি ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো– ইউসুফ আলী পাটোয়ারী, মুস্তাকিম, সুমন, ঝোটন ও রবিন। গতকাল মঙ্গলবার বাসাবো ও গত সোমবার রাতে রায়েরবাজার এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়।
কদমতলী থানা পুলিশ জানায়, গত ২৬ এপ্রিল শ্যামপুরে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার দিন শিশুটির মা কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হওয়ার পরই এলাকার ইউসুফ আলী পাটোয়ারী চকলেট ও বিস্কুট খেতে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে ডেকে নেয়। এর পর তাকে একটি বন্ধ কারখানায় নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। বাসায় ফিরে শিশুটির মা এ বিষয়ে জানতে পেরে মামলা করেন। এর ভিত্তিতে গতকাল সকালে বাসাবো থেকে ইউসুফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে রাজধানীর রায়েরবাজার এলাকায় সোমবার রাতে এক কিশোরীকে অস্ত্রের মুখে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনীর টহল দল। তাদের কাছ থেকে একটি সামুরাই ছুরি, একটি দেশীয় বড় ছুরি ও নগদ ৩ হাজার ৩৪০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, গত ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় কিশোর গ্যাংয়ের কয়েক সদস্য ওই কিশোরীকে ধরে রায়েরবাজারের সাদেক খান রোডের একটি বাসার ভূগর্ভস্থ তলায় নিয়ে যায়। সেখানে অস্ত্র ঠেকিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষকরা মামলা না করার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকিও দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে, দ্রুত অভিযান চালিয়ে প্রথমে দু’জনকে হাতেনাতে আটক করে যৌথ বাহিনী। পরে বাকি দু’জনকেও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখার হাসান জানান, গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে।
.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।