মুন্সীগঞ্জে মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করার সময় বিস্ফোরণ, বাড়িঘর ক্ষতি
Published: 30th, April 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার আড়ালিয়া গ্রামে মাটির নিচ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করার সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দে তিনটি গরুও মারা গেছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামে উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলটি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। এর আগে, গত সোমবার স্থানীয় হানিফের কৃষিজমিতে মাটি কেটে আইল বানানোর সময় মাটির নিচে বড় লোহাজাতীয় কিছু আঁচ করেন শ্রমিকেরা। গ্রামের লোকজন এটিকে পুরনো সীমানা পিলার মনে করলেও পুলিশ জানায়, এটি একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকে মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করতে কাজ শুরু করে পুলিশের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা। রাত ৮টার দিকে মর্টার শেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় গ্রামটি কেঁপে ওঠে। এতে ২০০ থেকে ৩০০ মিটার অংশের ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কিছু কিছু অংশ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোথাও টিনের বেড়া বেঁকে যায়।
বিস্ফোরণে স্থানীয় সেলিম, হারেস, রশিদ, রফিজ, রেনু মিস্ত্রি, ফরিদ হোসেন, আবদুল হান্নান, মানিক মিয়া, জলিল, মুক্তার হোসেন, আবদুল গাফফার, সেলিম মিয়া, বারেকের বাড়িসহ অর্ধশত বাড়িঘর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। বিস্ফোরণের শব্দে আশিক নামের এক কৃষকের তিনটি গরু মারা গেছে বলে জানান তারা।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চা–দোকানি আবদুর রশিদ বলেন, ‘‘বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটা বেশি ছিল যে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে আমার দোকানের প্রায় সবকিছু উড়ে গেছে।’’
ঘটনাস্থলের চার কিলোমিটার দূরে বালুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে আমরা তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করি। প্রথমে বিষয়টিকে আমরা ভূমিকম্প ভাবলেও পরে জানতে পারি আড়ালিয়া গ্রামের উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।’’
এদিকে, এ ঘটনার পর জনরোষে পড়েন পুলিশ, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ও গণমাধ্যমকর্মীরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সংবাদকর্মী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘‘মর্টার শেলটির বিস্ফোরণ ঘটানোর পর আশপাশের বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। এ ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা আমাদের ওপর চড়াও হয়। কেন আমরা বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যদের মর্টার শেলটি দূরে কোথাও নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে বললাম না, সে জন্য তারা আমাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।’’
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/রতন/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ষ ক র য় কর ব ড় ঘর ক র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।
মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।