কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানকে উত্তেজনা না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শিগগিরই কথা বলবেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে মঙ্গলবার (গতকাল) বা বুধবার (আজ) কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। একই কাজ করতে অন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীদেরও উৎসাহ দিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে।

ওয়াশিংটন গত রোববার বলেছে, পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশ—ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করছে তারা। পাশাপাশি চলতি সংকটে ‘দায়িত্বশীল সমাধানের’ পথে কাজ করতে উভয় দেশকে তারা আহ্বান জানায়।

আরও পড়ুনসিমলা চুক্তি স্থগিত করার পাকিস্তানের হুমকি কি যুদ্ধ ঘোষণার শামিল১৮ ঘণ্টা আগে

রুবিওর বক্তব্যের বরাত দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে যোগাযাগ রাখছি। তাদের বলছি উত্তেজনা না বাড়াতে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, রুবিও ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে মঙ্গলবার (গতকাল) বা বুধবার (আজ) কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে। একই কাজ করতে অন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীদেরও উৎসাহ দিয়েছেন তিনি।

কাশ্মীরে হামলার পর ওয়াশিংটন প্রকাশ্যে ভারতের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। তবে ওয়াশিংটন পাকিস্তানের সমালোচনা করেনি।

গত ২২ এপ্রিলের ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছে ভারত। তবে পাকিস্তান তা নাকচ করে দিয়েছে, আহ্বান জানিয়েছেন নিরপেক্ষ তদন্ত করতে।

চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ঠেকাতে ভারত আগের চেয়ে আরও বেশি যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদার হয়ে উঠছে। তবে পাকিস্তানও যুক্তরাষ্ট্রের একটি মিত্রদেশ হয়ে আছে।

কাশ্মীরে হামলার পর ওয়াশিংটন প্রকাশ্যে ভারতের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স। তবে ওয়াশিংটন পাকিস্তানের সমালোচনা করেনি।

মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবিদার ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশ। বর্তমানে দুই দেশ কাশ্মীরের অংশবিশেষ নিয়ন্ত্রণ করছে। এ ভূখণ্ড নিয়ে দেশ দুটি অতীতে একাধিকবার যুদ্ধে জড়িয়েছে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিকতম হামলার ঘটনায় একতরফাভাবে আন্তর্জাতিক সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে নয়াদিল্লি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেশটি নিয়েছে আরও কিছু পদক্ষেপ। পাকিস্তানও পাল্টা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার মধ্যে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় পরপর কয়েক দিন গোলাগুলি করেছেন দুই পক্ষের সেনারা।

এমন পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হামলাকারীদের কঠোর সাজা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। আর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানে হামলা অত্যাসন্ন।

আরও পড়ুন৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে ভারতের হামলার পরিকল্পনার গোয়েন্দা তথ্য আছে৫ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনপাকিস্তান যেকোনো কিছুর জন্য তৈরি, ভারত চেষ্টা করে দেখতে পারে: খাজা আসিফ২৯ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রমন ত র দ র র পরর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলের পরিকল্পনা কয়েক দিন আগে আটকে দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইসরায়েল গত শুক্রবার ভোর রাতে হামলা করে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ পদের প্রায় সব কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় খামেনির একজন উপদেষ্টাও নিহত হন।

মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না, যতক্ষণ না তারা এটা করছে, ততক্ষণ আমরা কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আক্রমণের কথা ভাবছিও না।’

এদিকে গতকাল রোববার ফক্স নিউজকে সাক্ষাৎকার দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখান তাকে খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করেলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘কখনো আলাপই হয়নি, এমন অনেক বিষয় নিয়েও খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমি সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।’

ফক্সের ‘স্পেশাল রিপোর্ট উইথ ব্রেট বেয়ার’ অনুষ্ঠানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যা করার দরকার, তা করি।’ নেতানিয়াহু বলেন, ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার একটি ফল হতে পারে সরকার পরিবর্তন। তেহরানের সৃষ্ট ‘অস্তিত্বের হুমকি’ দূর করতে ইসরায়েল যা যা প্রয়োজন, তা-ই করবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে চলমান এই সংঘাত ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এটি সহজেই শেষ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে ইরানকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যদি ইরান কোনো আমেরিকান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও এ সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ