বেশ কয়েক মাস ধরেই গুঞ্জন চলছিল, ব্রাজিল জাতীয় দলের পরবর্তী কোচ হচ্ছেন কার্লো আনচেলত্তি। ইউরোপীয় গণমাধ্যমগুলো এমনকি জানিয়েছিল, চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সারতে লন্ডন পর্যন্ত গিয়েছিলেন এই ইতালিয়ান কোচ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে চিত্র।

স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা জানিয়েছে, আনচেলত্তি ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)–কে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি আর দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নন। বরং সৌদি আরব থেকে পাওয়া বিশাল অঙ্কের প্রস্তাব এখন তার বিবেচনায় রয়েছে। 

ব্রাজিল ফুটবল প্রধান এদনাল্দো রদ্রিগেজ প্রায় নিশ্চিত ছিলেন, জুন বা আগস্টে আনচেলত্তি রিয়াল ছাড়িয়ে ব্রাজিলের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। কিন্তু এমন হঠাৎ ইউটার্নে হতবাক হয়ে পড়েছে সিবিএফ।

আনচেলত্তির এই সিদ্ধান্তের পেছনে কলকাঠি নেড়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। রিয়ালের সঙ্গে আনচেলত্তির আরও এক বছর চুক্তি বাকি থাকলেও, তিনি চুক্তি ভাঙার জন্য ৪ মিলিয়ন ইউরো ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন। কিন্তু পেরেজ তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। 

পেরেজের যুক্তি, আনচেলত্তিকে ক্লাব থেকে বরখাস্ত করা হচ্ছে না, বরং তিনি নিজেই সরে যেতে চাইছেন। এ অবস্থায় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। পাশাপাশি ক্লাবের সম্মান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়টি মাথায় রেখেই রিয়াল সভাপতি আনচেলত্তিকে ছাড়ার ক্ষেত্রে বাধা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এই পরিস্থিতিতে আনচেলত্তি হয়তো রিয়ালের ডাগআউটেই থাকবেন জুনে অনুষ্ঠিতব্য ক্লাব বিশ্বকাপে। এরপর তার নতুন গন্তব্য হতে পারে সৌদি আরবের কোনো ক্লাব, যেখান থেকে প্রতি মৌসুমে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ইউরো বেতনের প্রস্তাব পেয়েছেন তিনি। যদি এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি হবে কোচিং ইতিহাসের অন্যতম বড় চুক্তি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বিএমএল প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএলের প্রতিনিধি দল। গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএমএলের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির সভাপতি নাসিম খান। প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব রেজওয়ান মর্তুজা ও যুগ্ম মহাসচিব সাকিব খান।

সাক্ষাতের সময় প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে। এ সময় দলটির পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ