স্নাতক ডিগ্রিধারী কৃষিবিদদের অধিকার রক্ষা এবং পেশাগত বৈষম্য নিরসনের দা‌বি‌তে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃ‌বি) কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন চত্বরে কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ সমাবেশ ক‌রেন।

এ সময় তারা ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো না মানা হলে দেশের সকল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে ‘মার্চ ফর ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বিক্ষোভ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা আমাদের রু‌টি‌রুজি‌তে আঘাত করছে, যা আমরা কখনোই মেনে নেব না। কৃষি বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা তাদের তুলনায় আমা‌দের বেশি। দেশের কৃষিখাতকে সমৃদ্ধ করতে হলে দক্ষ কৃষিবিদদের বিকল্প নেই। বৈষম‌্যমুক্ত দে‌শে কৃ‌ষির সব বিভা‌গে প্রতি‌যো‌গিতার মাধ‌্যমে নি‌য়োগ দেওয়া হোক। তারা য‌দি প্রতি‌যো‌গিতায় টে‌কে, তাহ‌লে তো কোনো সমস‌্যা নেই। 

এরপর শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানে দশম গ্রেড কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে; ডিএই ও অন্যান্য কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নবম গ্রেডসহ অন্যান্য গ্রেডে নিয়মিত পদোন্নতি ও পদবৃদ্ধি করতে হবে; নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ব্যতীত নবম গ্রেডে পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না, এ ক্ষেত্রে দশম গ্রেডের পদগুলো গেজেটের আওতার বাইরে স্বতন্ত্র কাঠামোয় রাখতে হবে।

বাকি দাবিগুলো হলো- কৃষিবিষয়ক ডিপ্লোমাধারীদের জন্য কোনো নতুন বিশেষায়িত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা যাবে না; কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের ব্যতীত অন্য কেউ নামের আগে ‘কৃষিবিদ’ উপাধি ব্যবহার করতে পারবে না—এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে; কৃষিবিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের (ডিএই) অধীনেই রাখতে হবে।

ঢাকা/লিখন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রমে ‘অনিয়ম ও হয়রানি’ বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রমে ‘অনিয়ম ও হয়রানির’ বিরুদ্ধে আট দফা দাবি উত্থাপন করে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। বুধবার বিকেলে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হকের কাছে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগে সংস্কার কার্যক্রম চললেও রেজিস্ট্রার ভবন এখনো পুরোনো ত্রুটিপূর্ণ প্রশাসনিক ধাঁচে পরিচালিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিমা, সনদ উত্তোলন, ডিজিটাল কার্যক্রম, কর্মচারীদের ব্যবহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের হয়রানি, বিলম্ব ও দুর্নীতি অব্যাহত রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা যে আট দফা দাবি তুলে ধরেছেন, সেগুলো হলো স্বাস্থ্যবিমা–সংক্রান্ত হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং সময়মতো অর্থ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে; মধ্যাহ্নভোজ ও বৈঠকের অজুহাতে সেবা বন্ধ না করে কার্যক্রম চালু রাখতে হবে; রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য ফি পরিশোধসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিজিটাল করতে হবে; লালফিতার দৌরাত্ম৵ বন্ধ এবং অভিযোগ ব্যবস্থাপনা চালু  করতে হবে; অবৈধ নিয়োগ তদন্ত করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে; ওয়েবসাইট হালনাগাদ এবং কেন্দ্রীয় অনলাইন সেবা পোর্টাল চালু করতে হবে; কর্মচারীদের আচরণ উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে; সনদ ও মার্কশিট উত্তোলনের প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে এবং অতিরিক্ত ফি বাতিল করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্মারকলিপি দেন মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ, আবদুর রহমান আল-ফাহাদ, আশিক খান, রিয়াদুল ইসলাম, শামসুদ্দোহা শাকিল, শাহেদ ইমনসহ ১০ জন। এ সময় সহ–উপাচার্য সায়মা হক শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো শোনেন এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ