মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ
Published: 30th, April 2025 GMT
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে বুধবার মধ্যরাত থেকে তিন মাসের জন্য সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারও হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক সুষ্ঠু প্রজনন বৃদ্ধি, মজুদ ও ভারসাম্য রক্ষায় সকল প্রকার মাছ শিকার, শুকানো,পরিবহন ও বাজারজাতকরণের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
রাঙামাটি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) জানায়, কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ও মাছের স্বাভাবিক বংশ বৃদ্ধির লক্ষে বুধবার রাত ১২টা থেকে ৩১ জুলাই পর্ষন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে হ্রদে পানি উঠা নামার ওপর নির্ভর করবে তিন মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে আরও সময় বাড়ানো হবে কিনা। এ বছর বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ ঘাটে প্রায় ৮ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন মাছ অবতরণ করেছে, যার রাজস্ব আয় হয়েছে ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। চলতি বছরে হ্রদে ৬০ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করার কথা রয়েছে।
বিএফডিসি রাঙামাটির বিপণন কেন্দ্রের উপ-ব্যবস্থাপক মো.
১৯৬০ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফূলী নদীর উপর বাঁধ দেওয়া হয়। এ বাঁধের ফলে ৭২৫ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিশাল জলধার সৃষ্টি হয়। এ বাঁধের ফলে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন করে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হচ্ছে। রাঙামাটির আট উপজেলা ও খাগড়াছড়ির দুই উপজেলায় কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারের ওপর নির্ভর করেন ২৬ হাজার নিবন্ধিত জেলে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
একা বাস করতে পারে যে পাখি
কাকাপো একটি ব্যতিক্রমী পাখির নাম। এই পাখি চেনা পরিচিত পাখির মতো আচরণ করে না। ‘‘কাকাপোর আচারণ মানব শিশুর মতো।’’–কাকাপো বিশেষজ্ঞ ডা. রাগবী এই মন্তব্যই করেছেন।
নিউজিল্যান্ডের একটি অনন্য এবং অত্যন্ত বিপন্ন তোতাপাখি হলো কাকাপো। এটি ‘আউল প্যারট’ নামে পরিচিত। এটি হলো বিশ্বের একমাত্র তোতাপাখি যা দূরে উড়ে যেতে পারে না, তবে গাছে চড়তে পারে। এর ডানা তুলনামূলকভাবে ছোট এবং ওড়ার জন্য প্রয়োজনীয় পেশী সংযুক্ত করার ক্ষমতা নেই।
আরো পড়ুন:
কেউ কটূক্তি করলে কী করবেন?
টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়
কাকাপো একটি নিশাচর পাখি, দিনের বেলা ঘুমায়। তোতাপাখির ভেতর কাকাপো বিশ্বের সবচেয়ে ভারী । একটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ পাখির ওজন ৪ কেজি (৮.৮ পাউন্ড) পর্যন্ত হতে পারে।
কাকাপোর পালক হলুদাভ সবুজ রঙের হয়। এই পাখি বনের মধ্যে ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে। এদের মুখের পালক চাকতির মতো সাজানো থাকে, যে কারণে একে পেঁচা-তোতাও বলা হয়। এই পাখির প্রিয় খাবার রিমু বেরি।
কাকাপো প্রতি দুই থেকে চার বছর অন্তর প্রজনন করে। এর আবাসস্থল হলো নিউজিল্যান্ডে। বিপন্ন হতে যাওয়া এই পাখিকে বর্তমানে শিকারী-মুক্ত কয়েকটি দ্বীপে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এই পাখি একাকী বাস করতে পারে।
পুরুষ কাকাপো প্রজনন ঋতুতে সঙ্গীকে আকর্ষণ করার জন্য এক ধরনের গম্ভীর ‘বুমিং’ (booming) শব্দ করে। স্ত্রী কাকাপো একবারে সাধারণত ১ থেকে ৪টি ডিম পাড়ে। ডিমগুলো ফুটে বাচ্চা বের হতে প্রায় ৩০ দিন সময় লাগে এবং এই সময়ে মা কাকাপো-ই ডিমে তা দেয় ও বাচ্চার যত্ন নেয়।
মাউরি লোক সাহিত্যে এবং বিশ্বাসের সাথে কাকাপো ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তারা বিশ্বাস করে কাকাপো পাখি ভবিষ্যত বলতে পারে।
ঢাকা/লিপি