বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করে মুজারাবানির ইতিহাস
Published: 30th, April 2025 GMT
বাংলাদেশের মাটিতে টেস্ট জয় এনে দিয়ে আইসিসি টেস্ট বোলিং র্যাংকিংয়ে দারুণ সাফল্য পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি। সিলেট টেস্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে তিনি পৌঁছে গেছেন ৭০০ রেটিং পয়েন্টের মাইলফলকে। যা জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো কেউ ছুঁতে পারল।
২৮ বছর বয়সী এই পেসার সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে নেন ৩ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ৬ উইকেট নেন। ৯ উইকেট শিকার করে হন ম্যাচসেরাও। বল হাতে দারুণ করায় র্যাংকিংয়ে তিনি এক লাফে ১৪ ধাপ এগিয়েছেন। বর্তমান অবস্থান করছেন ক্যারিয়ারসেরা ১৫তম স্থানে। তার রেটিং পয়েন্ট এখন ৭০৫।
জিম্বাবুয়ের কিংবদন্তি ক্রিকেটার হিথ স্ট্রিক ছিলেন প্রথম এবং এতদিন পর্যন্ত একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি টেস্ট বোলিংয়ে ৭০০ পয়েন্টের গণ্ডি পেরিয়েছিলেন। তার সর্বোচ্চ রেটিং ছিল ৭৯৪। যা তিনি অর্জন করেন ১৯৯৬ সালে এবং সর্বশেষ ২০০১ সালে ছিলেন ৭০০-এর ওপরে।
আরো পড়ুন:
মিরাজের ৫ উইকেট, উড়ছে বাংলাদেশ
এগিয়ে থেকেও উৎকণ্ঠায় বাংলাদেশ
এ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের আরেক বোলার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ৫ উইকেট নিয়ে পুনরায় ঢুকেছেন র্যাংকিংয়ে। বাংলাদেশি পেসার নাহিদ রানার সঙ্গে যৌথভাবে আছেন ৬৮তম স্থানে।
অন্যদিকে বাংলাদেশি স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ায় র্যাংকিংয়ে ৪ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ২৬তম স্থানে।
বাংলাদেশ সিলেট টেস্টে হারলেও ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কয়েকজন র্যাংকিংয়ে উন্নতি করেছেন। মুমিনুল হক তার দুই ইনিংসে ৫৬ ও ৪৭ রানের ইনিংস খেলে ৫ ধাপ এগিয়ে ৪৮তম স্থানে উঠেছেন। উইকেটরক্ষক জাকের আলী ১০ ধাপ এগিয়ে ৫০তম স্থানে। আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৪ ধাপ এগিয়ে আছেন ৫৩তম স্থানে আছেন।
জিম্বাবুয়ের ওপেনার ব্রায়ান বেনেটও আলো ছড়িয়েছেন। দুই ইনিংসে ৫৭ ও ৫৪ রান করে র্যাংকিংয়ে ৫৪ ধাপ লাফিয়ে প্রথমবারের মতো ঢুকেছেন বিশ্বের সেরা ১০০ ব্যাটসম্যানের তালিকায়।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা
প্রতিনিয়ত জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। অনেক সময় ভ্রান্ত ধারণায় পড়ে এ পরিস্থিতিতে আরও বড় ধরনের ভুল করে ফেলি আমরা। সে ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতিতে কী করবেন আর কী করবেন না, তা জেনে রাখা ভালো।
যেমন–
পুড়ে গেলে : গরম তেল পড়ে হোক বা আগুনে পুড়ে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পোড়া স্থানে পেস্টের আস্তরণ দিই। অনেকে ডিম ভেঙে দেন, কেউ বা লাগান চুন। এগুলো ক্ষতিকর। পুড়ে গেলে ঠান্ডা পানির ধারা রাখতে পারেন ১০ মিনিট; অন্য কোনো কিছু নয়।
ব্যথা পেলে : হাড় ভাঙলে নড়াচড়া না করে ভাঙা স্থানের দু’পাশে কাঠ দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে আনতে হবে।
রক্ত ধুয়ে ফেলা নয় : রক্তপাত হতে থাকলে পরিষ্কার কাপড় বা গজ-ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। বেশি কেটে গেলে বা রক্তপাত ১০ মিনিটের মধ্যে বন্ধ না হলে হাসপাতালে নিতে ভুলবেন না।
নাক দিয়ে রক্ত পড়লে : আক্রান্ত ব্যক্তিকে সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে বসাতে হবে। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ও অনামিকা দিয়ে নাসারন্ধ্র টানা ১০ মিনিট বন্ধ রাখতে হবে। এ সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। বরফ নাকের ওপরে দেওয়া যেতে পারে। যদি একটানা ১০ মিনিট নাসারন্ধ্র চেপে ধরে রাখার পরও রক্ত বন্ধ না হয়, দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
সাপে কাটলে : সাপে কাটার স্থানের কিছু ওপরে আমরা শক্ত বাঁধন দিই। এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হাত-পা পচে যেতে পারে। বাঁধন দিতে হবে, তবে রশি দিয়ে নয়; গামছা, কাপড় দিয়ে ঢিলে করে বাঁধলেই চলবে।
বিষপানে নয় গোবরপানি : বিষ পান করলে অনেকে গোবরমিশ্রিত পানি পান করিয়ে বমি করার চেষ্টা করেন। এটি ভ্রান্ত ধারণা। যদি বিষপান করা ব্যক্তি অচেতন বা অবচেতন থাকে, তাহলে বমি ফুসফুসে চলে যেতে পারে; যা গুরুতর। বিষপানের এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি, নিনস