অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতায় চান না জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এমনকি সংস্কার চান বলেও জানান তিনি। এসময় অন্তর্বর্তী সরকারকে নব্য ফ্যাসিবাদ বলে আখ্যা দেন তিনি।  

মে দিবস উপল‌ক্ষে বৃহস্প‌তিবার রাজধানীর কাকরাই‌লে জাপার কেন্দ্রীয় কার্যাল‌য়ের সাম‌নে শ্রমিক সমা‌বে‌শে এসব কথা বলেন তিনি। 

শ্রমিক সমা‌বে‌শে জি এম কা‌দের ড.

ইউনূস এবং অভ্যুত্থানের নেতাদের কটাক্ষ করে ব‌লেন, আমরা চাই সরকারপ্রধান ও তার নিয়োগকর্তারা ক্ষমতা ছেড়ে রাজনীতিতে আসুক। জনগণ যদি তাদের গ্রহণ করে, আমরা গ্রহণ করব। আবারও বলছি, এই মুহূর্তে অবাস্তব সংস্কার চাই না। নির্বাচিত সরকার ছাড়া কেউই সংস্কার করতে পারবে না।

জিএম কা‌দের ব‌লেন, জাপার কর্মসূচি‌তে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা ও নির্যাতন চলছে। আর অন্যায় অত্যাচার সহ্য করব না। 

সরকা‌রের উ‌দ্দে‌শে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা দেশের অর্ধেক মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর ভোটাধিকার দিতে চান না। আমরা আপনাদের ওই চিন্তার ধার ধারি না। এদেশের জন্য আমাদের ত্যাগ আছে। এদেশের জন্য আমরা কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবো। দেশের মানুষ যদি আমাদের গ্রহণ না করে আমরা মাথা পেতে নেব। 

সরকার‌কে হুঁ‌শিয়ার ক‌রে জি এম কা‌দের ব‌লেন,  ফ্যাসিবাদি সিদ্ধান্ত মানব না। যতদিন পর্যন্ত নব্য ফ্যাসিবাদ বিতারিত না হবে, ততদিন সংগ্রাম চলবে। 

ড. ইউনূ‌সের উ‌দ্দে‌শে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, যেহেতু আপনি অন্তর্ভূক্তিমূলক নির্বাচন করতে পারছেন না, দয়া করে বিদায় হোন। আপনাকে দিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব হবে না। আপনার সংস্কার আমরা বিশ্বাস করি না।

কোন কারণ ছাড়াই জাপা‌কে রাজনী‌তি থে‌কে বের দেওয়ার চেষ্টা চল‌ছে অ‌ভি‌যোগ ক‌রেন জি এম কা‌দের। আওয়ামী লী‌গের কী অপরাধ প্রশ্ন তু‌লে তি‌নি ব‌লেন, কোন আইনে রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখবেন? কোন ব্যক্তি দোষ করলে, এটা তার দল বা ধর্মের দোষ নয়। সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে হবে।

জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি মেফতাহ উদ্দিন জসিমের সভাপ‌তি‌ত্বে সমা‌বে‌শে আরও বক্তৃতা ক‌রেন জাপার জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড ইউন স জ এম ক দ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

আগস্টে জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত থাকছে

দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এবারও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এ নিয়ে টানা দুই মাস জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত রাখা হলো। তার মানে জুলাইয়ের নির্ধারিত দামেই পেট্রল, অকটেন, ডিজেল বিক্রি হবে আগস্টে।

এর আগে জুনে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম কমানো হয় ২ টাকা। পেট্রল ও অকটেনের দাম লিটারে কমানো হয় ৩ টাকা।

আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে আগস্ট মাসের জন্য নির্ধারিত দাম জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সংশোধিত সূত্র অনুসারে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ১০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পেট্রলের দাম প্রতি লিটার ১১৮ টাকা ও অকটেনের দাম ১২২ টাকা করা হয়েছে। কেরোসিনের নতুন দাম ১১৪ টাকা।

নতুন দাম আগামীকাল শুক্রবার (১ আগস্ট) থেকে কার্যকর হবে। গত বছরের মার্চ থেকে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ শুরু করেছে সরকার। সে হিসেবে প্রতি মাসে নতুন দাম ঘোষণা করা হয়।

জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাসদ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়। জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণ করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন)। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ