চাঁদপুরের কচুয়ায় গণধর্ষণের মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কচুয়ার রহিমানগর এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার (১ মে) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- হাড়িচাইল মুন্সি বাড়ীর মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে মো. সুমন (৩১) ও আঃ হালিমের ছেলে মো. মহসিন (২৮)।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের বড় ছেলে ইব্রাহিম (১০) গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে নিখোঁজ হয়। তাকে খুঁজতে গিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কচুয়া থানাধীন উত্তর গোহট ইউনিয়নের হাড়িচাইল (মুন্সি বাড়ী) যান শিশুটির মা। এসময় সুমন ও মহসিন ভিকটিমকে বলে আপনার ছেলেকে আরিফের পরিত্যক্ত বসত ঘরের ভিতর লুকিয়ে থাকতে দেখেছি। তখন ভিকটিম তাদের কথা মতো তার ছেলেকে ওই ঘরে খুঁজতে যান। এসময় বর্ণিত দুজন তাকে জাপটে ধরে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। 

এ ঘটনায় ভিকটিম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কচুয়া থানায় মামলা করেন। মামলার পর থেকে তারা পলাতক ছিল।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে চাঁদপুরের কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আজিজুল ইসলাম বলেন, “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৩) ধারা রুজু করা হয়। সুমন ও মহসিনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।”

ঢাকা/অমরেশ/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

কুমিল্লার মুরাদনগর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আসিফ মাহমুদের পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্য রয়েছেন। 

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের আল্লাহ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে। 

এলাকাবাসী জানান, বুধবার বিকেলে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সদরের আল্লাহ চত্বরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হন।  সমাবেশ লক্ষ্য করে পার্শ্ববর্তী জেলা পরিষদের মার্কেট থেকে কয়েকটি ইট, পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক আহত হন, তাদের মধ্যে একজন ইউপি সদস্যও রয়েছেন।

আরো পড়ুন:

কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবে বিএনপির অভিযোগ বক্স, যা পাওয়া গেল

সরকারের একটি অংশ অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে: তারেক রহমান

মিছিল নিয়ে আসা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মিনাজুল হক বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। মিছিল নিয়ে আসার পর শত শত ইটপাটকেল ছুড়ে আমাদের ধাওয়া দিতে থাকে। আমাদের অনেক সমর্থক আহত হন।”

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিএনপির মুরাদনগর উপজেলার আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, “তারা হামলা করার পর আমাদের ছেলেরা প্রতিরোধ করেছে।”

কুমিল্লার মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান জানান, আজ মুরাদনগর সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ চলছিল। এ সময় পাশে অবস্থান করা কিছু লোক বিনা উসকানিতে তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করে। 

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • সোনারগাঁয়ে মাদ্রাসায় কমিটি গঠনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
  • ফতুল্লার  শিবু মার্কেট এলাকায় মাও. জব্বারের গণসংযোগ,: ভোটারদের মন জয়ে ব্যস্ত প্রার্থী
  • সিদ্ধিরগঞ্জের ডিএনডি লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করলো বিএনপি
  • ‘এইচ টি ইমামের’ বন্ধ কারখানায় ডাকাতির চেষ্টা, আটক ৬