বৃহৎ শক্তির কোনো দ্বৈরথে পড়তে চাই না: মান্না
Published: 2nd, May 2025 GMT
‘মানবিক করিডর’ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তে সন্দেহ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছোট ছোট বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে ডেকে কথা বলা হয়েছে। অথচ ‘হিউম্যানিটেরিয়ান করিডর’ (মানবিক করিডর) দেওয়ার মতো এত বড় বিষয়ে কারও সঙ্গে পরামর্শ করার দরকার মনে হয়নি।
আজ শুক্রবার (২ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাহমুদুর রহমান মান্না।
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর জন্য ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা বৃহৎ শক্তির কোনো দ্বৈরথে পড়তে চাই না।’
পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ‘হিউম্যানিটেরিয়ান করিডর’ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে, তাই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারের আরও চিন্তাভাবনা করা উচিত ছিল বলে মনে করেন মান্না। তিনি বলেন, দেড় লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে পাঠিয়ে দিতে এক বছর সময় লাগবে না—এমন মন্তব্যের পরপরই বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক নেতাদের দৌড়ঝাঁপ দেখলাম। এরপর হিউম্যানিটেরিয়ান করিডর (মানবিক করিডর)। এত তাড়াতাড়ি হিউম্যানিটেরিয়ান করিডরের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে নীতিগতভাবে একমত হতে হলো কেন, এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সামনে নির্বাচন। স্পষ্ট তারিখ নেই। কিন্তু নতুন নতুন সমস্যার আলামত দেখা যাচ্ছে। এগুলো কি শুভ লক্ষণ! এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলো যত বেশি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নিজেদের সামনের দিকে নিয়ে যেতে চেষ্টা করবে, তত জাতির কল্যাণ হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক