‘মানবিক করিডর’ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তে সন্দেহ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছোট ছোট বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে ডেকে কথা বলা হয়েছে। অথচ ‘হিউম্যানিটেরিয়ান করিডর’ (মানবিক করিডর) দেওয়ার মতো এত বড় বিষয়ে কারও সঙ্গে পরামর্শ করার দরকার মনে হয়নি।

আজ শুক্রবার (২ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাহমুদুর রহমান মান্না।

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর জন্য ‘মানবিক করিডর’ স্থাপন নিয়ে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা বৃহৎ শক্তির কোনো দ্বৈরথে পড়তে চাই না।’

পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ‘হিউম্যানিটেরিয়ান করিডর’ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে, তাই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সরকারের আরও চিন্তাভাবনা করা উচিত ছিল বলে মনে করেন মান্না। তিনি বলেন, দেড় লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে পাঠিয়ে দিতে এক বছর সময় লাগবে না—এমন মন্তব্যের পরপরই বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক নেতাদের দৌড়ঝাঁপ দেখলাম। এরপর হিউম্যানিটেরিয়ান করিডর (মানবিক করিডর)। এত তাড়াতাড়ি হিউম্যানিটেরিয়ান করিডরের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে নীতিগতভাবে একমত হতে হলো কেন, এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সামনে নির্বাচন। স্পষ্ট তারিখ নেই। কিন্তু নতুন নতুন সমস্যার আলামত দেখা যাচ্ছে। এগুলো কি শুভ লক্ষণ! এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলো যত বেশি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নিজেদের সামনের দিকে নিয়ে যেতে চেষ্টা করবে, তত জাতির কল্যাণ হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডায় ২২ পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূত এমপির জয়

কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে এবার ভারতীয় পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূতদের সংখ্যা বেড়েছে। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২২ জন পাঞ্জাবি হাউস অব কমন্সে জায়গা করে নিয়েছেন।

এবারের নির্বাচনে কানাডার রাজনীতিতে পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূতদের ক্রমান্বয়ে আধিপত্য বাড়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠল। দেশটির পার্লামেন্টে এখন পাঞ্জাবি অধিবাসীদের ৬ শতাংশের বেশি প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠিত হলো।

পাঞ্জাবি জনগোষ্ঠীর ঘনত্ব বেশি ব্রাম্পটন শহরে। সেখানকার নির্বাচনী ফলাফল ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এখানে পাঁচটি আসনে পাঞ্জাবি নামধারী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

উদারপন্থি ও রক্ষণশীল উভয় দলেই পাঞ্জাবি প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। ব্র্যাম্পটন নর্থে উদারপন্থি দলের রুবি সাহোতা রক্ষণশীল দলের আমনদীপ জুড়্গেকে পরাজিত করেন। বিবিসি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ