পাক-ভারত উত্তেজনার মধ্যে রিজওয়ান বললেন, ‘আমি জানি না কী হচ্ছে’
Published: 2nd, May 2025 GMT
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানি ক্রীড়া তারকাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে ভারত। ‘ডিজিটাল স্ট্রাইক’ চালিয়ে ভারতের ভেতরে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন শাহ আফ্রিদির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, সরকারি আইনি অনুরোধের প্রেক্ষিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে লাহোরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান জানালেন, ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক উত্তেজনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। রিজওয়ান বলেন, ‘ক্রিকেটে রাজনীতি থাকা উচিত নয়। আমি জানি না পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে কী হচ্ছে—আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করি না।’
পিএসএলে মুলতান সুলতানসের নেতৃত্ব দেওয়া রিজওয়ান আরও বলেন, ‘আমরা যখন কোহলি বা জো রুটের মতো খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা করি, তখন সবাই একটি ক্রিকেট পরিবার হিসেবেই আলাপ করি। তারা আমাদের কাছ থেকে শেখে, আমরাও তাদের কাছ থেকে শিখি।’
কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তইয়্যেবার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে দাবি ভারতীয় গোয়েন্দাদের। এই ঘটনার পর পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের ভারতে সামাজিক মাধ্যমে কার্যক্রম সীমিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার।
এর আগে পাকিস্তানের জ্যাভলিন থ্রো তারকা আরশাদ নাদিমের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও ভারতে সীমিত করা হয়। প্যারিস অলিম্পিক সামনে রেখে প্রস্তুতির কারণে বেঙ্গালুরুতে ‘এনসি ক্লাসিক’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারলেও তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতীয় তারকা নীরাজ চোপড়া।
এছাড়া শোয়েব আখতার, শহীদ আফ্রিদি এবং বাসিত আলীর মতো সাবেক ক্রিকেটারদের ইউটিউব চ্যানেলও ভারতে সীমিত করা হয়েছে। ভারত সরকারের বক্তব্য, এসব চ্যানেল থেকে ‘উসকানিমূলক, বিভ্রান্তিকর ও ভারতের সশস্ত্র বাহিনী সম্পর্কে অপপ্রচারমূলক’ কনটেন্ট ছড়ানো হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জওয় ন
এছাড়াও পড়ুন:
গ্রেপ্তার দেখানো হলো মেজর সাদিকুলের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে
ভাটারা থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মেজর সাদিকুল হকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিনকে। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করবেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, সুমাইয়া জাফরিনকে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের ঘটনায় জাফরিনের কী ভূমিকা ছিলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবোদে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ঢাকার বসুন্ধরায় একটি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে বুধবার সন্ধ্যায় সুমাইয়া জাফরিনকে হেফাজতে নেয় ডিবি পুলিশ।
গত ১০ জুলাই রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার কেবি কনভেনশন সেন্টারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ একটি গোপন বৈঠকের আয়োজন করে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ বৈঠকে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মিলে প্রায় ৩০০-৪০০ জন অংশ নেন।
গত ১ আগস্ট আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ১৭ জুলাই অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাকে উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পূর্ণ তদন্ত শেষ হওয়া সাপেক্ষে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ওই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হচ্ছে।
ঢাকা/এমআর/ইভা