রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। 

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে এ সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষকরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করায় ব্যারিকেড দিয়ে তাদেরকে আটকে দেওয়া হয়েছে। 

ঢাকা/এমআর/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফেনীতে দুর্বৃত্তরা রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে সিগন্যাল বাতিতে লাল কাপড় বেঁধে দেয়

ফেনীতে ঢাকা–চট্টগ্রাম রেলপথে ফিশপ্লেট খুলে লাল কাপড় বেঁধে রাখে দুর্বৃত্তরা। তবে সময়মতো বিষয়টি টের পেয়ে লাইন মেরামত করায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। সাময়িক বিঘ্নের পর আবার ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ শনিবার ভোরে ফেনী রেলস্টেশনের অদূরে সদর উপজেলার দক্ষিণ সহদেবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গেটম্যান আমিনুল ইসলাম সকালে দায়িত্ব পালনে গিয়ে রেললাইনের ওপর লাল কাপড় ও খুলে ফেলা রেলবিট দেখতে পান। পরে সঙ্গে সঙ্গে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান তিনি। খবর পেয়ে কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মেরামতের কাজ শুরু করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় লাইন সাময়িকভাবে ঠিক করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ফেনী রেলস্টেশন থেকে প্রায় ১ হাজার ৫০০ মিটার দূরে দক্ষিণ সহদেবপুর রেলওয়ে ব্রিজ–সংলগ্ন এলাকায় রাতের আঁধারে রেলপথের যন্ত্রাংশ খুলে ফেলে দুর্বৃত্তরা। তারা রেলপথের আপলাইনে ৮৯ দশমিক শূন্য ১ অংশে একটি রেলবিটের ফিশপ্লেট, ছয়টি নাট, ২০টি কার্ড স্লিপার ও ৪০টি ইআরসি খুলে ফেলে। পরে রেলবিটটি ১ ফুট দূরে পাশের সিগন্যাল বাতির খুঁটির সঙ্গে লাল কাপড়ে বেঁধে রাখা হয়। খুলে ফেলা রেলবিট থেকে চট্টগ্রামমুখী লাইনের ১০০ গজ অদূরে রেললাইনের ওপর লাল কাপড় টানিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

রেলওয়ে কর্মকর্তাদের প্রাথমিক ধারণা, এটি পরিকল্পিত নাশকতার অংশ। কারণ, দুর্বৃত্তরা শুধু ফিশপ্লেটই খুলে নেয়নি; সঙ্গে রেঞ্জ ও ছেনিজাতীয় হাতিয়ার ঘটনাস্থলে ফেলে গেছে। কাছাকাছি সিগন্যাল খুঁটিতে লাল কাপড় বেঁধে রাখার মাধ্যমে ট্রেন চলাচলে বাধা তৈরির চেষ্টা ছিল। তবে এটি নাশকতা নাকি চুরির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, তা নিশ্চিত হতে তদন্ত চলছে।

ফেনী রেলওয়ে প্রকৌশলী বিভাগের মেট (২৩–এ) ফারুক হোসেন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাইনটি মেরামত করা হয়। সকাল আটটার পর আপলাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে ফেনী রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সারোয়ার আলম বলেন, যেখানে ঘটনা ঘটেছে, সেখানে রাতে মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা আড্ডা দেন। তবে এটি নাশকতা নাকি চুরি, বিষয়টি অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে। প্রকৌশল বিভাগের পক্ষ থেকে জিআরপি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এ ঘটনার পরপর তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান ফেনী রেলস্টেশন জিআরপি পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তরুণ কান্তি চাকমা। তিনি বলেন, রেলওয়ে পুলিশ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় রেল পুলিশের পক্ষ থেকে লাকসাম জিআরপি থানায় প্রাথমিকভাবে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হচ্ছে।

এদিকে এ ঘটনার পর চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল সোয়া ৭টার পরিবর্তে সকাল সোয়া ৯টায় ফেনী অতিক্রম করেছে বলে জানান ফেনী রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ হারুন। তিনি বলেন, অন্য ট্রেনগুলোও নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে বিলম্বে ফেনী স্টেশন অতিক্রম করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ