প্রায় ৩০ বছর আগে রাজধানীর একটি বাড়িতে আড্ডা শুরু হয় পাখি দেখিয়েদের। তখনও বার্ড ক্লাবের ধারণা অনেকের কাছে স্পষ্ট ছিল না। সেই আড্ডা চলতে থাকে বছরখানেক। এরপর শুরু হয় আগ্রহীদের মাসিক পত্রিকা প্রকাশ। পরে আনুষ্ঠানিক নামকরণ হয় ‘বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব’। ক্লাবের কাজ শুধু পাখি দেখাতে সীমাবদ্ধ থাকেনি। পাখি পর্যবেক্ষণ, গণনার সঙ্গে যুক্ত হয় গবেষণা এবং সংরক্ষণের মতো জটিল ও দায়িত্বশীল কাজ। এ কাজে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংগঠন এবং নবীন-প্রবীণ ব্যক্তিরাও এগিয়ে এসেছেন। এ উদ্যোগের পুরোধা ব্যক্তি এবং দেশের অন্যতম পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হকের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন শাহেরীন আরাফাত–
পা খির প্রতি ইনাম আল হকের আগ্রহ ছোটকাল থেকেই। ১৯৭১ সালে বিমানবাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় পাকিস্তানে আটক ছিলেন। দেশে ফেরেন ১৯৭৩ সালে। তখন ভারতবর্ষের পাখি নিয়ে সালিম আলির একটি বই হাতে পান। বইটি ‘ভারতের পক্ষীমানব’-এর মূল বইয়ের কিছু অংশের সংকলন। এখনকার ‘ফিল্ড গাইড’-এর তুলনায় অনেকটাই দুর্বল। এটি ইনাম আল হকের জীবনে ব্যাপক প্রভাব রাখে। তিনি যেখানে যান, পাখি দেখে চিনতে শুরু করেন। ১৯৯৫-৯৬ সালের কথা। চাকরি থেকে অবসরের পর শুরু করেন পুরোদমে পাখি দেখা। তখন আরও দুই-তিনজন বাঙালিকে পেলেন, যারা পাখি দেখেন। এর মধ্যে একজন আনিসুজ্জামান খান, তিনি মারা গেছেন; আরেকজন এসএমএ রশীদ। সেই সঙ্গে কয়েকজন বিদেশি ছিলেন, যারা এ দেশে এসেছিলেন বিদেশি সংস্থার কর্মী হিসেবে। এমন কয়েকজনকে নিয়ে ইনাম আল হক তাঁর বাসায় নিয়মিত আড্ডার ব্যবস্থা করলেন।
এ প্রসঙ্গে এই পাখিবিশারদ বলেন, ‘খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেখলাম, আনিসুজ্জামান খান এবং এসএমএ রশিদ পাখি দেখাতে মুন্সীগঞ্জ নিয়ে যাবেন। আগ্রহীরা যাওয়া-আসার নির্দিষ্ট টাকা দিয়ে সঙ্গী হতে পারেন। এভাবে তাদের সঙ্গে পরিচয় হলো। তাদের মাধ্যমে পরে আলী রেজা খান, ফরিদ আহসানের মতো পাখি দেখতে আগ্রহীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। তাদের সঙ্গে একত্রে পাখি দেখা, বনে যাওয়া, গ্রাম-গঞ্জে থাকা, উপকূলে যাওয়া– এগুলো শুরু হলো। কিছুদিন পর মনে হলো, সবার সঙ্গে তো দেখা হচ্ছে কালেভদ্রে। আমি যদি বাসায় নিয়মিত একটি আড্ডার ব্যবস্থা করি, তাহলে কেমন হয়– এই ভেবে একটি মাসিক আড্ডা শুরু করলাম। এখানে অনেকে আসা শুরু করলেন এবং সেসব বিদেশি নাগরিক, যারা পাখি দেখার ক্ষেত্রে নিজ নিজ দেশে ওস্তাদ, তারাও আসা শুরু করলেন। ১৯৯৬ সাল থেকে এটি শুরু হয়। প্রথম দিকে আমার বাসার আড্ডায় বিদেশিরাই বেশি আসতেন। ১০ জন আড্ডার সঙ্গী হলে সাত-আটজন থাকতেন বিদেশি। তারা এ আড্ডা খুব উপভোগ করতেন। সে সময় কে কোন পাখি দেখেছেন, কোনটা ভুল, এসব নিয়ে তর্ক-বিতর্কও হতো। এরপর একটা সমাধানে পৌঁছানো হতো– এটি তাদের দেশের রেওয়াজ। সেই বিদেশিরা এখন অনেকে যার যার দেশে চলে গেছেন এবং কয়েকজন মারাও গেছেন।’
এই বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে ইনাম আল হক পাখি সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘যার কাছ থেকে আমি সবচেয়ে বেশি শিখেছি, তিনি ড.
ইনাম আল হক আরও বলেন, ‘‘এই মাসিক আড্ডা থেকে বার্ড ক্লাবের জন্ম। যদিও এর নাম দিয়েছি আমরা অনেক পরে। আড্ডার দুয়েক বছর পর এর নাম হলো ‘বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব’। সেটি এখনও টিকে আছে। নিয়মিত মিটিং হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সাল থেকে শুরু করছি। ২০০১ সালে এসে আমার ঘর ভরে যেত, যেখানে প্রায় সবাই বাঙালি। ২০০০ সালে আমরা গেলাম কেওক্রাডং। তখন কেউ ওখানে গেলে খবর হয়ে যেত। তখন থেকে আমরা পাহাড়ে নিয়মিত পাখি দেখতে যেতাম। এরপর বহু তরুণ-তরুণী আমাদের সঙ্গে আসা শুরু করল, তাদের অনেকে পাখিতে আগ্রহী নয়; পাহাড়ে যেতে আগ্রহী। আমি এ দলটিকে দুই ভাগ করতে চাইলাম। একটার নাম হলো ট্র্যাকার্স ক্লাব, যারা পাহাড়ে হাঁটতে চায়। আরেকটা পাখি দেখিয়েদের দল, বার্ডস ক্লাব। এরপর আমরা মাসিক আড্ডা থেকে মাসিক পত্রিকা শুরু করলাম।’
‘বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব’ নামকরণ বা পত্রিকা শুরুর ১০ বছর পর ২০১০ সাল থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে ৯ সদস্যের কমিটি করে এটি পরিচালনা শুরু হয়। পত্রিকাটি ত্রৈমাসিক করা হয়। তা হয়ে ওঠে রঙিন, আরও ঝকঝকে।
ইনাম আল হক বলেন, ‘১৯৯৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আমরা পাখি অনেক দেখেছি। তবে পাখি দেখাই শেষ কথা নয়। পাখি দেখা তো একটা শৌখিনতা, ক্রিকেট খেলা দেখার মতো। সারাদিন বসে দেখলাম, এটি নিয়ে উত্তেজনা হলো– এটুকুই তো শেষ নয়; কিন্তু একটা বড় কাজ আছে। পাখি নিয়ে গবেষণা ও তথ্য সংগ্রহ করা। আমার দেশের তথ্য তো অন্য দেশে থাকবে না। আমাকে সেটি সংগ্রহ করতে হবে। পাখি তো সংরক্ষণ করতে হবে, উধাও হয়ে যাচ্ছে। পাখির বসবাসযোগ্য পরিবেশ কমে যাচ্ছে, পাখিও কমে যাচ্ছে। ফলে ওই দুটো কাজ করতে হবে– সংরক্ষণ এবং গবেষণা।’
পাখি গবেষণা একটি জটিল কাজ। এটি নিজ থেকে শেখা যায় না। পাখি ধরা, রক্ত সংগ্রহ বা রিং পরানো; আবার কোনো ক্ষতি না করে ছেড়ে দিতে হবে। এ জন্য প্রশিক্ষণ লাগে। এ ক্ষেত্রে ব্রিটিশ পাখি বিশেষজ্ঞদের সহায়তা ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। তারা বিনামূল্যে যন্ত্রপাতি দিয়েছেন, প্রশিক্ষক পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব থেকে শুধু তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কীভাবে জাল দিয়ে পাখি ধরতে হয়, মাপজোখ কী করে নিতে হয়, তার পায়ে কী করে রিং লাগাতে হয়, ট্রান্সমিটার কী করে লাগাতে হয়– এগুলো শিখিয়েছেন ওই প্রশিক্ষকরা। প্রতি বছর দু’তিনজন করে প্রশিক্ষক বাংলাদেশে পাঠানো হতো। ২০২০ সাল পর্যন্ত এ কাজ চলেছে। দেশের বেশ কয়েকজন তরুণ গবেষক এ দলের সঙ্গে যোগ দেন। এর মধ্যে একজন ইতোমধ্যে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন; আরেকজন প্রায় শেষের পথে।
রাষ্ট্রীয় কোনো সহযোগিতা নেয়নি বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব। ভবিষ্যতেও এমন পরিকল্পনা নেই। এ প্রসঙ্গে ইনাম আল হক বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রের কাছে কোনো অনুদান প্রত্যাশাও করি না। যদি রাষ্ট্র বার্ড ক্লাবকে এক কোটি টাকা দিত, তাহলে ক্লাবটা খারাপ হতো। অথবা আরও ১০ জন প্রার্থী দাঁড়িয়ে যেতেন। বলতেন আমরাও তো কাজ করি, আমাদেরও টাকা দেন। সরকারি সাহায্যে সবসময় ভালো কিছু হয় না। সরকার যদি অর্থ বিনিয়োগ করে, তার জন্য বন বিভাগই ভালো। পাখি গবেষণা সত্যিকারের দায়িত্ব তাদের। যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাখি গবেষণার জন্য পাঁচ কোটি টাকা দেওয়া হয় তাহলে ভালো কিছু হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পাখিবিজ্ঞানী বের হবে।’
২০০০ সালের দিকে বাংলাদেশে দেখতে পাওয়া পাখির প্রজাতির সংখ্যা ছিল ৬৫০। এখন সেটি ৭৪৪। পাখি দেখিয়ের সংখ্যা বাড়ার কারণে নতুন প্রজাতি যুক্ত হচ্ছে। ইনাম আল হকের মতে, এ সংখ্যা শিগগিরই ৮০০ ছাড়িয়ে গেলেও তিনি অবাক হবেন না।
ইনাম আল হক বলেন, ‘মানুষকে পাসপোর্ট নিয়ে অন্য দেশে যেতে হয়। পাখির কোনো দেশ নেই। পাখির এলাকা আছে; বেঁচে থাকতে হলে পুরো এলাকাই তার প্রয়োজন। এক জায়গায় তিন মাস থাকবে, আরেক জায়গায় চার মাস থাকবে, আরেক জায়গায় পাঁচ মাস থাকবে। প্রতি বছর এভাবেই যাবে, কোনো জায়গায় একদিন থাকবে। প্রতি বছরই সে ওখানে থামবে, না থামলে সে মরে যাবে। এ জায়গাগুলোও তার। একদিন থাকে বলে তো তাকে বলা যায় না এ জায়গা তার নয়। ধরুন, একটি পাখি শীতটা কাটাবে বাংলাদেশে। যাত্রাপথে একদিন মাত্র সিঙ্গাপুরে থামে, এমন পাখিও আছে। সে সিঙ্গাপুরেরও পাখি। বছরে একদিন সে সিঙ্গাপুরের উপকূলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে। ওটা বন্ধ করে দিলে সে হয়তো বাঁচবে না। পাখি একদিনের জন্যও যেখানে থাকে, সেটি তার দেশ।’
আম্পান ঝড়ের সময় নতুন একটি পাখি দেখে মিরপুরের ছাদ থেকে তার ছবি তোলেন সেথ মিলার। ১৭ বছর বয়সী এই ছেলের তোলা ছবি খুব ভালো হয়নি। কিন্তু বার্ড ক্লাবের সদস্যরা চিনতে পেরেছেন– এটি এ দেশে নতুন একটি প্রজাতি, পানিকাটা। ওই ঝড়ের সময় সাতটি নতুন পাখি বাংলাদেশ পেয়েছে। ওই পাখিগুলো মহাসাগরের পাখি। তারা হয়তো স্বাভাবিক সময়ে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে আসার কথা নয়; কিন্তু ঝড়ের সময় এখানে আশ্রয় নেয়। তাই বাংলাদেশকেও তার দরকার। কয়েকদিন হয়তো এখানে থেকেছে তারা। এ পাখিও বাংলাদেশের পাখি। তাদের পরিযায়ী বলা যায়; কিন্তু বাংলাদেশের নয় এমন নয়।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০০। সদস্য সংখ্যা না বাড়িয়ে ক্লাবের সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেন ইনাম আল হক। তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বার্ড ক্লাব গড়ে উঠেছে। চট্টগ্রাম বার্ড ক্লাব, রাজশাহী বার্ড ক্লাব এবং শেরপুর বার্ড ক্লাব খুব ভালো কাজ করছে। এ ছাড়া এখন অনলাইনভিত্তিক অনেক বার্ড ক্লাব গড়ে উঠেছে। আমার মতে, ১০ বা ২০ জন সদস্য হলে কোথাও একটা বার্ড ক্লাব গড়ে উঠতে পারে। পাখি দেখার জন্য তো বেশি মানুষের দরকার নেই।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য র একট একদ ন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
শাপলা চত্বরে গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার আহ্বান
২০১৩ সালে রাজধানীর মতিঝিলে শাপলা চত্বরে গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করার আহ্বান জানিয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
তিনি বলেছেন, “শাপলা চত্বরে যতজন নিহত হয়েছেন, তাদের সবার হয়ে গণহত্যার জন্য হাসিনার নামে মামলা করতে হবে। এটা আমার প্রথম দাবি। দ্বিতীয় দাবি, বিশ্বের মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”
শনিবার (৩ মে) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান মাহমুদুর রহমান।
দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক বলেন, “আমি একটা বিষয়ে অবাক হয়ে যাচ্ছি, হেফাজতের পক্ষ থেকে কেন এত দিনেও সেই দানব ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। আপনারা কেন এখনো মামলা দায়ের করেনি, আমি জানি না।”
তিনি বলেন, “আজকে আমি এখানে উপস্থিত হয়েছি শাপলা চত্বরে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। একইসঙ্গে আমি জুলাই বিপ্লবের শহীদদেরও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমাদের মনে রাখতে হবে, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে গণহত্যার পর এই প্রথম স্বাধীনভাবে কোনো প্রোগ্রাম করতে পেরেছি।”
“আমরা যেহেতু মুসলমান, তাই গাজা ও ভারতের কাশ্মীরে মুসলমানদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তার বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালাতে হবে।”
তিনি বলেন, “হেফাজত ইসলাম নারীবাদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ড. ইউনূস সরকারের প্রতি আমার প্রশ্ন যে, আপনারা কেন অপ্রয়োজনীয় ইস্যু তৈরি করছেন? আমি বলতে চাই, নারী কমিশন তৈরির জন্য জুলাই বিপ্লবে কেউ জীবন দেয়নি। তারা জীবন দিয়েছিল এ দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করার জন্য। আপনারা সরকারে বসেছেন যাতে বাংলাদেশে আর ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে, বাংলাদেশকে ভারতের আগ্রাসন থেকে মুক্ত করার জন্য।”
“আমি মনে করি, আপনাদের দায়িত্ব শুধু সেই সংস্কারগুলো করা, যে সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশে আর ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারবে না। ড. ইউনূস সরকারের প্রতি দেশের একজন প্রবীণ নাগরিক হিসেবে আমার অনুরোধ, আপনারা অপ্রয়োজনীয় ইস্যু তৈরি করবেন না। আমরা দেখেছি, আপনারা অনেকগুলো সংস্কার কমিশন করেছেন, যেগুলোর কোনো প্রয়োজনই ছিল না। আপনারা রাষ্ট্রের সময় এবং সম্পদ নষ্ট করছেন। সুতরাং, আমার অনুরোধ, আপনারা এসব কমিশন বাতিল করে দেন। আমাদের এসব কমিশনের প্রয়োজন নেই।”
আলেম-ওলামাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, “আলেম-ওলামাদের প্রতি আমার অনুরোধ, আপনারা নারীবাদ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন থেকে সরে যাবেন না। আমাদের বৃহত্তর লড়াই ভারতের সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে। আমাদের বৃহত্তর লড়াই ইসলামের জন্য। তাই, আপনারা এ ছোট বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করবেন ঠিকই, কিন্তু এর পেছনে বেশি সময় দিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন থেকে পিছিয়ে যাবেন না। এজন্য আপনাদের প্রতি অনুরোধ আপনারা একটু ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। আমি মনে করি, বাংলাদেশের আলেমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।”
ঢাকা/রায়হান/রফিক