চ্যাটজিপিটির নতুন ইমেজ জেনারেশন টুলের এই ৪ ব্যবহার জানেন তো
Published: 3rd, May 2025 GMT
চ্যাটজিপিটির নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ওপেনএআই সম্প্রতি জিপিটি ৪ও এআই মডেলে ইমেজ জেনারেশন টুল উন্মুক্ত করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কাজ লাগিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি তৈরি করতে সক্ষম টুলটি উন্মুক্তের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভরে উঠেছে স্টুডিও জিবলি ঘরানার ছবিতে। চ্যাটজিপিটির নতুন টুলটি কাজে লাগিয়ে শৌখিন ছবি তৈরির পাশাপাশি পেশাদার ও সৃজনশীল কাজও করা যায়। চ্যাটজিপিটির ইমেজ জেনারেশন টুল শৌখিন ছবি তৈরির পাশাপাশি আরও যেসব কাজে ব্যবহার করা যায়, সেগুলো দেখে নেওয়া যাক—
১.
কনটেন্ট নির্মাণ ও ডিজিটাল বিপণন
শুধু কৃত্রিম ছবি তৈরি নয়, ব্যবহারকারীদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাস্টম গ্রাফিকস, ইনফোগ্রাফিক বা ফিচার ইমেজ তৈরির পাশাপাশি সেগুলো পোস্টও করতে পারে চ্যাটজিপিটির নতুন ইমেজ জেনারেশন টুল। তাই ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, এক্স (সাবেক টুইটার) ও লিংকডইনের মতো প্ল্যাটফর্মে ছবি বা স্টোরি পোস্ট করার পাশাপাশি বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্যও চ্যাটজিপিটির নতুন ইমেজ জেনারেশন টুলটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. প্রচারণা উপকরণ তৈরি
বিভিন্ন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণায় আকর্ষণীয় স্লাইড ব্যবহার করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত স্লাইড ও সংক্ষিপ্ত ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে দিতে পারে ইমেজ জেনারেশন টুলটি। ফলে ব্যবহারকারীরা চাইলেই বিভিন্ন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণায় টুলটি ব্যবহার করতে পারবেন।
৩. পণ্যের নকশা ও প্রোটোটাইপ তৈরি
ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ বা নতুন কোনো পণ্যের প্রাথমিক নকশা তৈরিতে অনেকেই এআই ছবি ব্যবহার করেন। এমনকি ইউজার ইন্টারফেসের বাটন, আইকনসহ ছোট ছোট উপাদানের নমুনাও তৈরি করেন কেউ কেউ। তাই পণ্যের নকশা ও প্রোটোটাইপ তৈরিতে চ্যাটজিপিটির নতুন ইমেজ জেনারেশন টুলটি বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
৪. ব্যক্তিগত শিল্পকর্ম ও ঘর সাজানো
চ্যাটজিপিটির ইমেজ জেনারেশন টুল কাজে লাগিয়ে সহজেই কাস্টম অ্যাভাটার, নিজের পছন্দ অনুযায়ী প্রোফাইল ছবি বা বিভিন্ন শিল্পকর্ম তৈরি করা যায়। তাই ব্যক্তিগত শিল্পকর্ম তৈরির পাশাপাশি ঘর সাজানোর কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে চ্যাটজিপিটির ইমেজ জেনারেশন টুলটি।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫